সাদামাটা রসিকতায় এর ওর সাথে খিলখিল করে হাসছে ঝুমুর। অনেক সময় অকারণেই হাসছে। জোর করে হাসতে গিয়ে চাপা ব্যাথা হয়ে যাচ্ছে। ভেতরের আতঙ্ক চাপা দিতে গিয়ে মাঝে মাঝেই অপ্রস্তুত হয়ে যাচ্ছে। হালকা শিফনের শাড়িতে অদ্ভুত সুন্দর লাগছে তাকে। প্রেসের লোকজন সামনাসামনি হাঁ করে তাকিয়ে না থাকলেও একটু দূরত্ব বজায় রেখে ঝুমুরের বাহ্যিক সৌন্দর্যকে গিলে খাচ্ছে। হঠাৎই আবারও আলম ভাইয়ের সামনে পড়ে যায় ঝুমুর। উনার অভিব্যক্তি দেখে মনে হচ্ছে কাউকে খুঁজছেন। ক্ষণে ক্ষণে এদিক সেদিক তাকিয়ে অস্থির ভঙ্গিতে ঝুমুরকেই জিজ্ঞেস করলেন, -কলকাতার সেই কলামিস্ট এর সাথে দেখা হয়েছে? এদিকে একের পর এক সিগারেট জ্বালিয়ে কয়েক টান দিয়ে সেটা এ্যাশ ট্রে-তে পিষে ফেলে আরেকটা সিগারেট ধরাচ্ছে নাতাশা। তার মনে হচ্ছে কেউ তার মাথায় আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। কিছুক্ষণ পর পর আপন মনে গর্জে উঠছে -কত্ত বড় সাহস! আধবুড়ি একটা বিচ! ইন্সপেক্টর সানি নাতাশার একটা ছবি টুকে নিয়েছিলেন। সেইসাথে মিসিং হবার দিনের খুঁটিনাটি মনোযোগ দিয়ে শুনেছিলেন নাতাশার মায়ের কাছ থেকে। কিন্তু পরপর কয়েকটা খুনের ঘটনায় এই মিসিং কেইসটার কথা বেমালুম ভুলে গিয়েছিলেন। কে এই ঝুমুর? নাতাশা কেন এবং কিভাবে নিঁখোজ হলো? মিডিয়া জগতের জনপ্রিয় নায়িকার মধুচন্দ্রিমা কেমন কাটলো? জানতে হলে পুরো উপন্যাসটি পড়তে হবে।