আমি এমন কোন রুপবতীকে সারাজীবন আমার পাশে চাইনা যে হয়তো তার নিজের সৌন্দর্যে বিভোর হয়ে কোন একদিন আমার অগোচরেই আফসোস করবে, দীর্ঘশ্বাস ফেলবে- জীবনে হয়তো আরও ভালো কাউকে পেতে পারতো এই ভেবে। অথচ আমি জানতেও পারবো না আমি আসলে তার নই। আমি এমন কোন ধনাঢ্য কাউকে চাইনা যে অর্থ দিয়ে সব কিনে ফেলতে পারে। কিনে ফেলতে পারে আমার হা-হুতাশ, নিঃশ্বাস, নিকোটিন, সব। যে হয়তো কিনে ফেলার ভয় দেখাবে আমার চোখের ভেতর ঘাপটি মেরে লুকিয়ে থাকা স্বপ্নগুলোকেও। আমার স্বাধীনতা আমারই থাক। তোমার বিত্ত-বৈভব তোমার চিত্তকে শীতল করলেও আমাকে অস্থিরতায় ভোগাবে। আমি নিরীহ প্রাণী। আমি চাঁদ-জ্যোৎস্নার আলো খেয়ে বেঁচে থাকা মানুষ। তোমার সাথে আমার ঠিক যাবে না! বরং আমি এমন কাউকে চাই যে সহজ, সাবলীল সমস্ত কুটিলতার ঊর্ধ্বে, হাসতে পারে প্রাণ খুলে চারপাশের মানুষকে ভালো রাখতে পারে হুটহাট ঝুম বৃষ্টিতে আমার সাথে ভিজতে পারে আমার লেখার পাশে জেগে বসে থাকতে পারে সারারাত খারাপ সময়গুলোতে আমার হাত শক্ত করে ধরে রাখতে পারে নীল শাড়ি, কালো টিপ আর হাত ভর্তি কাঁচের চুড়িতে সন্তুষ্ট থাকতে পারে বইয়ের সমুদ্রে বিভোর হয়ে হতে পারে আমার কাজল বিলের কাব্য কবিতা হতে পারে আমার মেঘ মানবী। সে শ্যামলা বা কালো হোক তাতে সমস্যা নেই। মুখে ব্রণ থাক তাতেও সমস্যা নেই। সমস্যা নেই দাঁত বাঁকা হলেও বা শরীরের কোন গঠন নিয়ে। কিন্তু মনটা যেন কূয়োর মত না হয়। সাগর আমার খুব পছন্দ। আমি চাই সে’ও সাগরের মত, আকাশের মত বিশাল হোক। আমি চাই এমন কেউ একজন আমার হোক যে শুধু আমারই। যার পুরো পৃথিবী হব আমি, সবটা আষ্টেপৃষ্টে। আমি কারও অপশন হতে চাইনা। আমি বাস করতে চাই কোন এক মেঘ মানবীর পুরো অস্তিত্ব জুড়ে।
একজন সৃষ্টিশীল ও স্বপ্নবাজ মানুষ। জন্ম রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দি উপজেলার রাজধরপুর গ্রামে। পিতা মোঃ খবির মোল্লা ও মাতা খাদিজা বেগম। পাঁচ ভাইবোনের মধ্যে তিনি সবার ছোট। ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্টে স্নাতক করেছেন আন্তর্জাতিক ব্যবসায়, কৃষি ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আর স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। পড়াশোনা শেষ করে এখন দেশীয় একটি স্বনামধন্য গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজে কর্মরত। ক্লাস সেভেনে দেয়াল পত্রিকায় লেখা জমা দেওয়ার মাধ্যমে লেখালেখির শুরু। এরপর আর থেমে থাকেননি। অসংখ্য কবিতা, ছোটগল্প, গান, নাটক, চিত্রনাট্য আর উপন্যাসে চলেছে তার অবাধ বিচরণ। ছায়ানটে কবিতার আসরের গভীর মনোযোগী ছাত্রও ছিলেন একসময়। ভালোবাসেন আবৃত্তি করতেও। বিভিন্ন প্রজেক্টে তার নির্মিত শর্টফিল্ম, মিউজিক্যাল ফিল্ম, ট্রাভেল ফিল্ম ও ডকুমেন্টারির সংখ্যা প্রায় শতাধিক। ভালোবাসেন নিজের ভাবনা ও গল্পগুলোকে ক্যামেরার ফ্রেমে তুলে আনতে। চান আলোর বার্তা ছড়িয়ে দিতে সবখানে। এখন পর্যন্ত বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক ও ম্যাগাজিনে প্রকাশিত হয়েছে তার অসংখ্য লেখা।