নাটকের শুরম্নতে দেখা যায়, অরেস্টিস তার শিড়্গককে নিয়ে আর্গস নগরীতে এক গ্রীষ্মের অপরাহ্নে প্রবেশ করে। সব বাড়ির জানালা দরজা বন্ধ, রা¯ত্মায় কোনো লোক নেই। ছদ্মবেশী জীয়ূস তার কাছে জানতে পারে, আর্গসবাসীরা তাদের রাজা আগামেমননের হত্যার পাপের প্রায়শ্চিত্ত করছে। আগামেমননকে হত্যা করেছে তার ভাই ইজিসথাস এবং সে প্রাক্তন রানিকে বিবাহ করেছে, অরিস্টিসের মনে হয়, আর্গস তার নিজের দেশ, অথচ নিজের দেশে সে বিদেশি। সে এমন কিছু করতে চায়, যাতে সে দেশের সঙ্গে একাত¥ হতে পারে। তার বোন ইলেক্টার সঙ্গে তার দেখা হয় এবং জানতে পারে, সে তার ভাইয়ের জন্য প্রতীড়্গা করে আছে। যে পিতৃহত্যার প্রতিশোধ নেবে। পরের দিন মৃতদের জন্য ভোজসভায় ইলেকট্র প্রতিবাদ জানিয়ে বলে, আর্গসবাসীদের রাজা ও রানি জনগণকে বিভ্রাšত্ম করেছে এবং তারা কোনো অপরাধ করেনি, সব লোক চলে গেলে সে তার ভাইকে প্রতিশোধ নিতে বলে এবং অরেস্টিস দেবতার কাছে ইঙ্গিত প্রার্থনা করে। জীয়ূস সাদা পাথরে যে আলো ফেলে, তার অর্থ এই সে নিজে এই ভাবে করে যে, সে স্বাধীনচিত্ত মানুষ এবং তার কর্মপন্থা হবে পিতৃহত্যার প্রতিশোধ নেওয়া। সে ইজিসথাস ও তার মাকে হত্যা করে। ইলেকট্রা এই হত্যার ভীষণতা ও তার জন্য দায়িত্ব নিতে অপারগতা প্রকাশ করে; সে অনুশোচনা করে এবং জীয়ূস তাকে মাছিদের হাত থেকে রড়্গা করে। অরেস্টিস বলে স্বাধীনভাবে সে যা করেছে, তার সম¯ত্ম দায়িত্ব তার এবং মাছিদের দ্বারা বিতাড়িত হয়ে সে আর্গস পরিত্যাগ করে। এ নাটকের মধ্যে দিয়ে সার্ত্র একটি রাজনৈতিক বক্তব্যকে প্রকাশ করতে চেয়েছিলেন।
জঁ-পল সার্ত্র (ফরাসি: Jean-Paul Sartre) (২১শে জুন, ১৯০৫-১৫ই এপ্রিল, ১৯৮০) ফরাসি অস্তিত্ববাদী দার্শনিক, নাট্যকার, সাহিত্যিক এবং সমালোচক। তিনি ছিলেন অস্তিত্ববাদ ও প্রপঁচবিজ্ঞানের দর্শনে একজন পথিকৃৎ ও বিংশ শতকের ফরাসি দর্শন ও মার্ক্সিজমের অন্যতম প্রভাবশালী দার্শনিক। জঁ-পল সার্ত্র তার কাজের মাধ্যমে সমাজবিজ্ঞান, সাহিত্যতত্ত্ব, উত্তর উপনিবেশবাদি তত্ত্ব ও সাহিত্য গবেষণায় ব্যপক প্রভাব বিস্তার করেছিলে। ফরাসী লেখিকা সিমোন দ্য বোভোয়ারের সাথে সার্ত্র-এর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল; তারা পরস্পর বন্ধনহীন প্রেমে আবদ্ধ ছিলেন। জঁ-পল সার্ত্র ১৯৬৪ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরষ্কারের জন্য মনোনীত হন তবে এই পুরস্কার গ্রহণে তিনি অস্বীকৃতি জানান; কারণ তার মতে একজন লেখককে কখনই নিজেকে একটি প্রতিষ্ঠানে পরিণত হতে দেওয়া উচিত নয়।