বড় লেখক হওয়ার স্বপ্ন আমাকে কখনোই লেখার পেছনে এগিয়ে নিয়ে যায়নি। আমি লেখালেখি করি শুধুই নিজের জন্য। নিজের বাস্তব এবং কল্পনাগুলোকে অন্যের মাঝে লালিত করা এবং সেই লালনা থেকে তৃপ্তি অনুভব করা আমার লেখার পেছনের মূলমন্ত্র। যেমনটি আমরা দিনশেষে প্রতিটি গল্পের আধারে নিজেকে খুঁজে পাই। আমি শুধু নিজেকে নিয়ে লেখার পেছনে ব্যস্ত থাকি না। আমার প্রায় গল্পের অধিকাংশ জায়গা জুড়ে আছে কিছু চেনা এবং অচেনা চরিত্র এবং কাল্পনিকতা। অতএব আমার কল্পনার জোয়ারেই আমার বাস্তব। মাঝে মাঝে ইচ্ছে করে কল্পনাতে নিজেকে হারিয়ে ফেলতে। কিন্তু সেটি বেশিপথ গিয়ে আর হয়ে উঠে না। বাস্তবের জোয়ারেই হারিয়ে যায়। সুতরাং সে কল্পনা এবং বাস্তবগুলো বেশিদূর এগোতে না পেরে কলমের কালিতে বন্দি হয়ে পড়ে। এবং আমাকে যদি বলা হয়, ছোট বেলায় আপনার সাথে ঠিক এমন একটি দিনে কী হয়েছিল আপনি কী তা বলতে পারবেন? আমি হয়তো এর কিছুটা গল্প বলতে সক্ষম হবো এবং বাকিটুকু নয়। কারণ বহুদিন আগের প্রতিটি মুুহুর্ত আমাদের মাথায় থাকে না। ঠিক যতটুকু আমাদের মনে এসে প্রবল ধাক্কা দিয়েছিল ঠিক ততটুকু গল্পই আমাদের মাথায় চিরদিন বন্দি হয়ে থাকবে এবং সেই গল্পগুলো যেন সময়ের সাথে সাথে হারিয়ে না যায় সেই বিশেষ কারণেই মূলত আমার এই ফিরে দেখা। কিছু কথা না বললেই নয়, কিছু কিছু মানুষ সত্যিই আলাদিনের প্রদীপের মতো আমাদের জীবনে এক অন্যরকম আলো নিয়ে হাজির হয়। দৈনিক শিরোনাম পত্রিকার বাণিজ্যিক ব্যবস্থাপক জাহাঙ্গীর আলম স্যার এই মানুষগুলোর মধ্যে অন্যতম একজন। আমার এই বইয়ের পেছনে তার অপরিসীম প্রেরণা এবং ভালোবাসা আমাকে লিখা শেষ করতে বাধ্য করেছে এবং যার কথা এই বইয়ের প্রসঙ্গে না বললে আমার এই ভূমিকা অসম্পূর্ণ রয়ে যাবে। তিনি হলেন স্বনামধন্য লেখক, সংলাপ নাট্যচিত্রকার ও নাট্যকার এবং দৈনিক শিরোনাম ও সাপ্তাহিক ঘটনা প্রবাহ পত্রিকার সম্পাদক স্যার নীতিশ সাহা। যিনি এই বইয়ের পেছনে অপরিসীম ভূমিকা পালন করেছেন। ধন্যবাদ নীতিশ সাহা স্যারকে।