অনেক শব্দের ফুলঝুরিতে বিরাজ করে অনুভূতি। আমরা প্রিয় মানুষকে যেমন হৃদয় দিয়ে ভালোবাসি, অনুরূপ কবিতাকেও ভালোবাসি। প্রেমহীন মানুষ কবিতা ভালোবাসে না। প্রেমিক মন সর্বদা কবিতা অনুরাগী হয়। এই প্রেম শুধু মানুষের জন্য নয়, সবকিছুর জন্য। “নিস্তব্ধ কোলাহল" কবি আইভী মামুনের তেমনি ভালোবাসার প্রথম প্রকাশ। দক্ষ লেখনীর মাধ্যমে তিনি বেশকিছু ব্যতিক্রমধর্মী কবিতা লিখেছেন। কবিতাগুলোতে তিনি সামগ্রিক জীবনের কথা উপস্থাপন করেছেন। তাঁর প্রতিটি কবিতা অসাধারণ শব্দের বুনন পরিলক্ষিত। শেকড়হীন কোনো কবিতার জন্ম দেননি। তিনি জীবন থেকে রূপ-রস নিঙড়ে তৈরি করেছেন “নিস্তব্ধ কোলাহল"। আবেগ ও বৌদ্ধিক উপলব্ধি তিনি লিখেছেন। সাহিত্যের অন্যতম এই শাখায় তার অনেক আগে থেকেই পথচলা শুরু। মায়ের কাছ থেকে অনুপ্রেরণা পেয়েছেন। মা একজন সাহিত্যিক ছিলেন। তাঁর সুযোগ্য কন্যা হিসেবে কবিতাগ্রন্থটি নিপুণভাবে সাজিয়েছেন। কবিতাপ্রেমীদের গূঢ় সংবেদনের কবি তিনি। তার কবিতা পাঠককে বেঁধে রাখতে সক্ষম হবে আশা করি। তার “নিস্তব্ধ কোলাহল” কবিতাগ্রন্থটি বহুদিনের কাব্যচর্চার প্রয়াস। তার এ প্রয়াস সফলতার পূর্ণতা পাবে প্রত্যাশা করছি। বাংলা সাহিত্য ধীরে ধীরে অনেক সমৃদ্ধ হচ্ছে। এ গ্রন্থটি এর প্রমাণ করবে। তার বইটির সফলতা কামনা করছি। কবিতাপাঠে পাঠক মুগ্ধ হয়ে কাব্যচর্চায় কবিকে উৎসাহিত করবে বলে আমি মনে করি। কবিতার জয় হোক। সফলতা পাক, “নিস্তব্ধ কোলাহল।” কবির জন্য শুভকামনা। - সাঈদা নাঈম গল্পকার ও প্রকাশক
অরোধ্য মনের গতিকে রুখতে না পেরে অবিরাম ছুটে চলেছেন প্রকৃতির পানে। পাহাড়, নদী, অরণ্য চষে বেড়িয়েছেন জীবনের বিভিন্ন সময়। স্মৃতিময় অভিজ্ঞতাগুলো মনের আঙিনায় স্তূপ হয়েছিলো। চেতনার বাগানে আবেগের ফুলঝুড়ি হয়ে ঝরতে চাইলো। প্রেরণা আর মমতায় ঘিরে রাখা কাছের মানুষদের অনুপ্রেরণায় তাইতো আইভী মামুনের প্রথম কাব্যগ্রন্থ – “নিস্তব্ধ কোলাহল"। বাবা একজন সরকারি কর্মকর্তা সৈয়দ ফরহাদ হোসেন ও মা - শিক্ষক, লেখক হাসিনা ফরহাদ জোছনার অনুপ্রেরণায় প্রথম লিখতে শুরু করেন। নিজের চারপাশে ঘিরে থাকা অজস্র চরিত্রের ও ঘটনার মিশ্রণে ক্ষুদ্র জীবনের অভিজ্ঞতার আলোকে মনের ভাষায় রূপ দিলেন। যদি পাঠক হৃদয় স্থান করে নিতে পারে তবেই তাঁর সার্থকতা। শিক্ষকতা দিয়ে ক্যারিয়ার শুরু করলেও দীর্ঘ বিরতির পর বর্তমানে নিজেকে একজন উদ্যোক্তা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছেন। স্বামী লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ মামুন আর রশিদ একজন অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা। যিনি সকল সময় সাহিত্যচর্চায় উৎসাহ দিয়ে আসছেন। দুই কন্যা সন্তান নিয়ে ছোট্ট সাজানো সংসার। সাহিত্যচর্চার পাশাপাশি বিভিন্ন জনকল্যাণমূলক কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে মানবতার সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করেছেন।