সিদ্ধুবিজেতা যুহাম্মাদ বিন কাসিম (রহ.)-এর হাত ধরে ভারতবর্ষে জয়যাত্রা শুরু হয় ইসলামের৷ এরও বহু আগে আরবের মুসলিম বণিক ও দায়ীদের মাধ্যমে এই ভূমিতে পদার্পণ করে ইসলাম। বহু সাহাবী (রা.) ও তাবেয়ীদের (রহ.) নামও রয়েছে সেসব মহান ব্যক্তিদের তালিকায়। ইসলামের জয়যাত্রা পূর্ণমাত্রা ধারণ করে মুঘল শাসনামলে৷ বিশেষত দরবেশ বাদশাহ নামে খ্যাত আওরঙ্গজেব মুহাম্মাদ আলমগীর (রহ.)-এর আমলে৷ এরপর এই সূর্য অস্তমিত হয় ধুরস্ধর ও প্রতারক ইংরেজ বাহিনীর কূটকৌশলের ফলে। অন্ধকারে ছেয়ে যায় পুরো দুইশত বছর। 'ওুঁপনিবেশিক শক্তির আতঙ্ক ইসলাম ও মুসলমানদের নাম-নিশানা মুছে ফেলার জন্য সব রকমের ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তের জাল ছড়িয়ে দেয় ওরা৷ রাজনৈতিক , অর্থনৈতিক, সামরিক থেকে বুদ্ধিবৃত্তিক ময়দান পর্যন্ত প্রতিটি ক্ষেত্রেই পরিকল্পিতভাবে তারা ইসলাম ও মুসলমানদের মোকাবেলায় যুদ্ধ করে। ফলে, প্রায় হাজার বছর ধরে যে মুসলমানেরা রাজত্ব করেছে এই ভূমিতে, নিজেদের লাঞ্ছিত ও দেশ-জাতিবিচ্ছিন্ন। তারপর এই ভূখথা-নাঙ্গা মুসলমানদেরই তাড়া খেয়ে, যারা “হিন্দু- মুসলিম ভাই-ভাই” শ্লোগানে সমগ্র হিন্দুস্তানকে এক করেছিল, পাততাড়ি গুটাতে বাধ্য হয় ব্রিটিশ সম্বাজ্যবাদী শক্তি। আবার উদয় হয় স্বাধীনতার সূর্যের। তবে এই স্বাধীনতার ফসল ঘরে ওঠে না মুসলমানের ফলে আবারও তারা শিকার হয় ভ্লুম, নিগ্হ, বঞ্চনার ভারতভূমি সিক্ত হয় মুসলমানের রক্ত আর অশ্রুতে। সেই তেত্রিশ কোটি দেবতার দেশ ভারতে নতুন করে ভ্রলে উঠেছে ঈমানের দীপ্ত শিখা। মুর্তিপূজার আসর ছেড়ে ভারতমাতার সন্তানেরা আজ আশ্রয় নিচ্ছে মসজিদের পবিত্র আঙিনায়। 'কোনো প্রতিকূলতা কিংবা প্রতিবন্ধকতাই তাদের রুখতে পারছে না। সত্যের আহ্বানে তারা জীবনপণ করে হলেও সাড়া দিচ্ছে। মাওলানা কালীম সিদ্দিকী (দা. বা.)-এর হাত ধরে তারা ফিরে আসছে সত্যের পথে। দলে-দলে, হাজারে-হাজারে! কিশোর-প্রবীণ, ধনী-নির্ধন, উচ্চশিক্ষিত এলিট শ্রেণী কিংবা সাধারণ- সকলেই নাম লেখাচ্ছে এই তালিকায়, ইতিহাস-বদলের এই কাফেলায়। তাদের ইসলাম গ্রহণের এবং দীনের পথে অটল-অবিচল থাকার সেসব ঈমানদীপ্ত ঘটনাবলী 'তাদের জবানীতেই পড়ুন পূর্ণাঙ্গ ছয়খণ্ড তিন ভলিউমে প্রকাশিত ঈমানদীপ্ত সাক্ষাৎকার শীর্ষক এই বইটিতে৷