মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানী লাইনপ্রথার বিরুদ্ধে মওলানা ভাসানীর সংগ্রাম, আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা মওলানা ভাসানী, কাগমারী সম্মেলন পূর্ব বাংলায় স্বাধীন রাষ্ট্রগঠনের প্রথম রিহার্সেল, স্বাধীন পূর্ব বাংলার কথা যারা ভেবেছিলেন, মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানী, জাতীয় নেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী, শোষণের বিরুদ্ধে মওলানা ভাসানী, উপনিবেশবাদ ও সাম্রারাজ্যবাদের বিরুদ্ধে মওলানা ভাসানীর সংগ্রাম, মওলানা ভাসানীর চোখে চীন, আয়ুব খানের পতনে মওলানা ভাসানীর ভূমিকা, মওলানা ভাসানী ও ১৯৬৮-৬৯ সালের মহান সশস্ত্র কৃষক গণ অভ্যুত্থান, এশিয়া আফ্রিকা ও ল্যাটিন আমেরিকার নিপীড়িত মানুষের পক্ষে মওলানা ভাসানী, শিক্ষা বিস্তারে মওলানা ভাসানী, আঞ্চলিক বৈষম্যের বিরুদ্ধে প্রথম কথা বলেন মওলানা ভাসানী, মওলানা ভাসানী সমাজতন্ত্রকে জনপ্রিয় করেছিলেন, মাতৃভাষা বাংলার স্বপক্ষে মওলানা ভাসানী, মৎস্যজীবী সম্প্রদায় ও পাটচাষীদের সমর্থনে মওলানা ভাসানী শিরোনামীয় রচনাগুলি মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানী গ্রন্থে মুদ্রিত হয়েছে। আবদুল হামিদ খান ভাসানী (১৮৮০-১৯৭৬) সম্পর্কে আমাদের দেশে গবেষণা ও লেখালেখি হয়েছে অনেক কম। জানা বোঝার বিষয়টাও কম। দীর্ঘ সময় ধরে তিনি তদানিন্তন পাকিস্তান, পূর্ব পাকিস্তান ও আসাম প্রদেশে রাজনীতি করেছেন। মাতৃভূমি থেকে বিতাড়িত হয়ে তাঁকে আসামে যেতে হয়েছে। ভারতে তাঁকে নির্বাসনে থাকতে হয়েছে দুইবার। ১৯৪৮ সালে আসাম থেকে মাতৃভূমিতে ফিরে আসেন। তিনি কৃষক শ্রমিক তথা মেহনতী মানুষকে নিয়ে আন্দোলন সংগ্রাম করেছেন। বহু বছর জেল খেছেটেন। লেখক আমজাদ হোসেন মওলানা ভাসানীকে নিয়ে লিখেছেন খুবই সাধারণ ভাষায়Ñ সাধরণ মানুষ যাতে তা বুঝতে পারেন। মেহনতী মানুষকে অনুপ্রাণিত করার জন্য লেখক মনে করেন মওলানা ভাসানীকে নিয়ে আরও আলোচনা হওয়া উচিত। অনুদঘাটিত বিষয় সমূহ তুলে ধর প্রয়োজন। লেখক সে চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন।
আমজাদ হোসেনের জন্ম ১৯৪২ সালে জামাল পুর টাউনে। তাঁর পিতার নাম মোহাম্মাদ মনিরুজ্জামান, মাতা খোদেজা খাতুন। ছাতিয়ানতলা প্রাইমারী স্কুল থেকে শিক্ষা গ্রহণ শুরু। যশোর জিলা স্কুল থেকে ম্যাট্রিকুলেশন। যশোর মাইকেল মধুসুদন কলেজ (সরকারী) থেকে আইএ ও বাংলা অনার্সে উত্তীর্ণ হন। তিনি অনার্স পরীক্ষা দেন যশোর সেন্ট্রাল জেল ও রাজশাহী সেন্ট্রাল জেলে থাকা অবস্থায়। কলেজে পড়াকালে তিনি পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়নে যোগ দেন। জেলা সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৬৪ সালের শুরুতে যোগ দেন পূর্ব পাকিস্তান কমিউনিস্ট পার্টিতে। প্রথমবার তিনি জেলে যান পাকিস্তান রক্ষা আইনে গ্রেফতার হয়ে ১৯৬৭ সালে। প্রায় ৮ মাস যশোর ও রাজশাহী সেন্ট্রাল জেলে থাকেন। দ্বিতীয়বার তাঁকে জেলে থাকতে হয় কিছু সময়। তিনি পূর্ব বাংলার কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী-লেলিনবাদী) এর সম্পাদক ছিলেন। ৮০ দশকের মধ্যভাগ থেকে তিনি কমিউনিস্ট আন্দোলন থেকে সরে গিয়ে সাংবাদিকতা পেশায় যুক্ত হন এবং লেখালেখি চালিয়ে যেতে থাকেন। তিনি বহু গ্রন্থ রচনা করেছেন যার মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশের উন্নয়ন ও দারিদ্র্য দূরীকরণের রাজনৈতিক অর্থনীতি, বাঙালীর ঐতিহ্য বাঙালীর ভবিষ্যৎ, বাংলাদেশের রাজনীতি ও রাজনৈতিক দল, বাংলাদেশের কৃষক আন্দোলনের ইতিহাস (২ খÐ), বাংলাদেশের শ্রমিক আন্দোলনের ইতিহাস, রাজনীতির পাঠ, নকশালবাড়ীর কৃষক আন্দোলন, বর্তমান রাজনীতি, বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অর্থনীতি, ত্রিবিশ্বতত্ত্ব ও অন্যান্য প্রবন্ধ, আলবেনিয়া কোন পথে, পাট সমস্যা, কৃষক সমিতি কাহাকে বলে, সাংস্কৃতিক আন্দোলনের সমস্যা, মৌলবাদ ও বাংলাদেশের রাজনৈতিক দল, দাবী বদলে যায়নি (৫ খণ্ড), সমাজ ও ধর্ম, মওলানা ভাসানীর জীবন ও রাজনীতি, সুভাষ চন্দ্র বসুর জীবন ও রাজনীতি, মানবেন্দ্রনাথ জীবন ও রাজনীতি, মৌলবাদ ও বাংলাদেশের সাম্প্রতিক রাজনীতি, মহাপণ্ডিত রাহুল সাংকৃত্যায়নের জীবনী, উপন্যাস সমগ্র (২ খণ্ড), ভাগ্যবতী ও অন্যান্য নাটক, সূর্য শপথ, ফেরা, রহিমা, চকলেট ও অন্যান্য গল্প, দশটি ছোট গল্প, ব্যঙ্গ নাটক, নন্দিনী, ভিতুর ডিম, তিনটি প্রবন্ধ ইত্যাদি।