ডলসির জন্মদিনের সকালে তার শয্যার পাশে এসে দাঁড়ায় অদ্ভুত এক ছেলে। লাল চুল আর সোনালি চোখের সেই ছেলের নাম মরিস। ডলসি ও তার বন্ধুদের নিয়ে মরিস বেরিয়ে পড়ে এক অভিযানে। সেই অভিযানে তারা খুঁজে পায় ইচ্ছাপূরণ গাছ। সেই গাছের গুণে সব ইচ্ছাই পূরণ হয় তাদের। কিন্তু তারা শেষপর্যন্ত বুঝতে পারে, ইচ্ছাপূরণের জন্য তেমন কোনো গাছের প্রয়োজন নেই। তাহলে কী প্রয়োজন? সেই উত্তর মিলবে এই উপন্যাসে। মূল রচনা নোবেলবিজয়ী সাহিত্যিক উইলিয়াম ফকনারের। অনুবাদ করেছেন সোহম সুলতান। প্রাঞ্জল অনুবাদ গ্রন্থটি মূল বইয়ের মতোই অলঙ্করণে সমৃদ্ধ। বাংলাভাষায় এই উপন্যাসের অনুবাদ সম্ভবত এ-ই প্রথম। ফকনার একটাই উপন্যাস লিখেছিলেন শিশুদের জন্য। সেটিও লেখা হয়েছিল অনেকটা কাকতালীয়ভাবেই। বান্ধবীর (পরে স্ত্রী) কন্যার জন্মদিনে উপহার দেওয়ার জন্য লিখেছিলেন ‘উইশিং ট্রি’ উপন্যাস। হাতে বাধাই করা সেই উপন্যাস ফকনার উপহার দিয়েছিলেন চার শিশুকে। তাকের একজন ছিল মুমূর্ষু। মৃত্যুশয্যায় শিশুটিকে পড়ে শোনানো হতো সেই উপন্যাস। ফকনারের জীবদ্দশায়ই সেই উপন্যাসের কপিরাইট নিয়ে শুরু হয় আইনি লড়াই। তাঁর মৃত্যুর পর প্রথম প্রকাশিত হয় সেই উপন্যাস।