‘জাফরানি ঘ্রাণ’ এক ছুটে চলা জীবন প্রবাহ। এটি নারী-পুরুষের প্রচলিত প্রেম ঘটিত উপাখ্যান নয়, আবার অপ্রেমও এর স্বভাব বিরুদ্ধ বিষয়। ছোটবেলায় আমরা অনেকেই উপন্যাস পড়তে গিয়ে বাঁধার সম্মুখীন হয়েছি। পাঠ্য বইয়ের নীচে লুকিয়ে পড়তে হতো উপন্যাস। তবে ‘জাফরানি ঘ্রাণ’ আপনার সন্তান কিংবা ছোট ভাই-বোনদের হাতে দেখলে আপনার বরং ভালো বোধ হবে। সব বয়সের মানুষদের উপযোগী উপন্যাস ‘জাফরানি ঘ্রাণ’। এখানে স্থান পেয়েছে স্বচ্ছতা , সৌন্দর্য ও সত্য। এর বিপরীতে আছে এক কালশিটে মিথ্যের দাগ। চরিত্ররা হন্যে হয়ে ছুটেছে , রহস্যের মুখোমুখি হয়েছে , চমকে উঠেছে , কখনো হেসেছে , কখনো কেঁদেছে। এখানে আমরা জীবনের নায়ে একলা একা দাঁড়িয়ে থাকা আনিকা নাওয়ারের চোখে উদ্বেগ, হতাশা এবং কখনো কখনো চকচকে কিছু জীবন্ত স্বপ্ন দেখি। মাদকাসক্ত আয়মানকে টালমাটাল অবস্থায় খুঁজে পাই। শিল্পপতি সালমান নাওয়ারের জীবনের নানা রং আমাদের মাঝে চমক জাগায়। রাজনকে খুঁজতে দেখি প্রেম। এই প্রেমের নাগাল আদৌ সে কি পায়? আনিকার স্বপ্নগুলো পূরণ হয় তো! অর্থ বিত্তের পাহাড়ে দাঁড়িয়ে থাকা সালমান নাওয়ার তার ইচ্ছাগুলো পূরণ করতে পারেন কিনা! এরই মাঝে উদঘাটিত হয় এক নতুন গন্তব্য। আনিকাকে ছুটতে হয় দেশ থেকে দেশান্তরে, সাথে থাকেন মা আসমা নাওয়ার। নয়াদিল্লি থেকে কাশ্মীর- স্রোতস্বিনী লিডরের তীরে বসে বসে আনিকা নতুন এক অরুণোদয় প্রত্যক্ষ করে। কাশ্মীরের এক ভেড়া পালক সম্প্রদায়ের সাথে আনিকার সম্পর্ক কী আসলে? বস্তুত জাফরানি ঘ্রাণ এক ছুটন্ত জীবন দর্শন। এর পরতে পরতে ছড়িয়ে আছে জাফরানি সুবাস- জাফরানি ঘ্রাণ। এই ঘ্রাণের জগতে আপনাকে স্বাগতম!