এস. এম. আব্রাহাম লিংকন উত্তরবঙ্গের মানুষ হলেও বহুমুখী প্রতিভা আর নানামুখী ইতিবাচক কর্মের কারণে তাঁর পরিচিতি আজ দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে দেশান্তরে। কাঁটাতারে ঝুলে থাকা ফেলানি বা প্রাচীরবিহীন কারাগারসম ছিটমহলগুলাের কথা এলে লিংকন ভাইয়ের নামটিও চলে আসে। নিজের সময়, অর্থ ও শ্রম ব্যয় করে নির্যাতন আর নিষ্ঠুরতার শিকার মানুষগুলাের পাশে তিনি সাহসের সাথে ছিলেন। ফেলানির হত্যার পর আইন ও সামাজিক লড়াইয়ের মাধ্যমে তিনি আন্তর্জাতিক বিবেককে জাগ্রত করতে প্রধান অনুঘটকে পরিণত হন। যার কারণে প্রতিবেশি রাষ্ট্র বন্দুকের নলের নিম্নমুখীকরণসহ শান্তিপূর্ণ সীমান্ত গঠনে সম্মত। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায়।
আজ সমাধান হয়েছে ছিটমহল সমস্যারও। আব্রাহাম লিংকনের ব্যস্ততম পেশাগত ও রাজনৈতিক জীবনের বাইরে অনন্য একটি কাজ নিজের বসতবাড়িতে গড়ে তােলা উত্তরবঙ্গ জাদুঘর। কতটা আত্মপ্রত্যয়ী আর দেশপ্রমিক হলে এটি সম্ভব তা স্বচক্ষে না দেখলে বােঝানাে অসম্ভব। শত চক্রান্তে হারিয়ে যাওয়া মুক্তিযুদ্ধের স্থানীয় নানা ইতিহাস উদ্ধার করে জাতির সামনে উপস্থাপন করেছেন। বাংলা একাডেমি থেকে প্রকাশিত তার লেখা মুক্তিযুদ্ধের আঞ্চলিক ইতিহাস রংপুর গ্রন্থটি উত্তরবঙ্গের মুক্তিযুদ্ধের আকর গ্রন্থ। তিনি নানা বিষয় নিয়ে লেখেন। তবে তাঁর লেখার মূল বিষয়ই হচ্ছে আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ। বিশেষত উত্তরবঙ্গের ইতিহাস ও ঐতিহ্য। ভাওয়াইয়ার স্বরে বঙ্গবন্ধু-উত্তর জনপদের ভাওয়াইয়া ভাষায় প্রণীত আব্রাহাম লিংকনের অনবদ্য কাব্যগ্রন্থ। কবিতাগুলােতে তিনি বঙ্গবন্ধুর নানা পর্বের জীবনালেখ্য ভাওয়াইয়া কাব্যধারায় তুলে ধরেছেন।