ফিকটাস ওয়ার্ল্ড! ধনীদের জন্য বিনোদনের এক সুবিশাল ও সুনিরাপদ মাধ্যম। ডাবরি রাজ্যের বিশেষভাবে প্রশিক্ষিত “ক্যান্তর”রা দৈববলে তৈরি করেন এই জগৎ। বাস্তব জগৎ থেকে সেই জগতে আসা-যাওয়ার একমাত্র মাধ্যম তারা। এক দুর্ঘটনায় সম্ভ্রান্ত পরিবারের সদস্যদের ফিকটাস ওয়ার্ল্ডে ফেলে পালিয়ে যায় দুই ক্যান্তর। কিন্তু কেন? বিপদ কড়া নাড়ছে! মুদ্রাকে জরুরি বৈঠক ডাকল ডাবরি রাজ্যের প্রধান দ্বিরেফ! পাশার দান গেল উল্টে। অন্যদের বাঁচাতে নিজেই সে এখন অনিবার্য বিপদের মুখে দাঁড়িয়ে! দ্বিরেফ কি পারবে সবাইকে বাঁচাতে? পারবে নিজে বেঁচে ফিরতে? পলাতক ক্যান্তরদের খোঁজে “খের বাড়ি”তে ছুটে যায় সহকারী প্রধান ক্যান্তর আলকানতারা। পা রেখেই বুঝতে পারে বাতাসে বিপদের গন্ধ। বিছানো হচ্ছে চক্রান্তের জাল! সে কি পারবে সেই জাল ছিন্ন করতে? সবচেয়ে সমৃদ্ধ রাজ্য “সোনার নালী”র প্রধান আলফি পিলগ্রিম ধ্বংস নাকি গড়া—কোন পথে হাঁটছেন? দেবিদ্বার রাজ্যে দেখা মিলল অদ্ভুত এক তরুণীর। প্রাক্তন প্রধান ক্যান্তর ফিলিক্সকে খুঁজে বেড়াচ্ছে সে। কী তার উদ্দেশ্য? ডাবরি রাজকন্যা নৈঋত যে স্মৃতি সে বয়ে বেড়াচ্ছে তার রহস্য কী? ডাবরির দুর্দিন আসন্ন! প্রয়োজন রাজকীয় উৎসর্গের। প্রস্তুত তো সবাই?
লেখালেখির শুরুটা ২০১১ সাল। রংপুর সরকারি কলেজের সহপাঠীদের লেখা নিয়ে প্রকাশিত ‘বিকাশ’ পত্রিকার মাধ্যমে। তিনি বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় ও অনলাইনে সমানভাবে লিখে গেছেন। অপেক্ষার প্রহর ঘুচেছে ২০১৭ সালে উপন্যাস ‘অলৌকিক সায়ন্তন’ প্রকাশের মাধ্যমে। প্রথমবারেই রহস্য উপন্যাস লিখে ভূয়সী প্রশংসা পেয়েছেন বিভিন্ন মহলে। “ফিরিয়ে দিতে এসে’ লেখকের দ্বিতীয় উপন্যাস। বেগম রােকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর- এ কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে অধ্যয়নরত আছেন তরুণ এই লেখক। তার জন্ম ৩০ অক্টোবর ১৯৯৪ হলেও সার্টিফিকেটসহ বিভিন্নখানে ৩১ ডিসেম্বর ১৯৯৫। এই ভুল ইচ্ছাকৃত। এমনি ইচ্ছাকৃত-অনিচ্ছাকৃত ভুলের গল্প বলতে চান তিনি। গল্প বলার জন্যই তার এই জীবন..