পাশ্চাত্য সংস্কৃতির ভয়াবহ আগ্রাসন বাংলাদেশী মুসলিম তরুনÑতরুনীদের মাঝে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। আধিপত্যবাদী এই সংস্কৃতি ক্রমেই ইসলামী বিশ্বাস ও মূল্যবোধকে ধ্বংস করার চেষ্টা করছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, বিদেশী সংস্কৃতির প্রভাবে আমাদের ভবিষ্যৎ মুসলিম প্রজম্ম আরও বেশি হুমকির সম্মুখিন হতে পারে। আধুনিকতা, স্বাধীনতা আর সাম্যের নামে তারা মুসলিম বিশ্বে অশ্লীলতার প্রসার ঘটাচ্ছে। ফলে মুসলিম উম্মাহ আজ সাংস্কৃতিক অরাজকতা আর বিচ্যুতিতে ভুগছে, যা সামাজিক শৃঙ্খলাকে ক্ষতিগ্রস্থ করছে। এর ফলে মুসলিম নারী- পুরুষেরা তাদের ধর্মীয় বিশ্বাস, কর্তব্য ও অঙ্গীকার ভুলে যাচ্ছে। তাই সমাজকে অবিশ্বাসর অতল গহ্বরে পতিত হওয়া থেকে বাঁচানোর জন্য আমাদের কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন। পথভ্রষ্ট প্রজম্মকে আল্লাহর দ্বীনের সঠিক পথে আনা খুবই কঠিন কাজ। আমাদের লক্ষ্য হলো এই কঠিন কাজকে সহজ করা এবং ইসলামী ধারণা ও মূল্যবোধকে সারাবিশ্বে ছড়িয়ে দেওয়া। উপন্যাসটিকে বর্তমান সামাজিক পরিস্থিতির আলোকে আকর্ষণীয়ভাবে উপস্থাপন করার চেষ্টা করা হয়েছে। পরষ্পরবিরোধী কয়েকটি চরিত্রের মাধ্যমে পাশ্চাত্য ভাবধারার মিথ্যা আধুনিকতা এবং ইসলামী সভ্যতার সুমহান সৌন্দর্যকে পাঠকের সামনে উপস্থাপন করা হয়েছে। বিবাহিত নায়ক নায়িকাদের পারষ্পরিক কথোপকথনের মাধ্যমে যুবসমাজকে নৈতিকভাবে সচেতন করা হয়েছে। আমি কোন পেশাদার লেখক বা উপন্যাসিক নই। তবে এই উপন্যাসে আমি ভাল ও মন্দকে পরষ্পর মুখোমুখি করেছি, পাশ্চাত্য সংস্কৃতির বিপরীতে ইসলামী সংস্কৃতির শ্রেষ্ঠত্বকে তুলে ধরেছি। আশাকরি এই উপন্যাসের মাধ্যমে পাঠক দুষ্কর্মের উপর পূণ্যকে বিজয়ী করার প্রেরণা খুঁজে পাবেন।
মোঃ মতিউর রহমান ১৯৮৯ সালে রাজশাহী জেলার বাগমারা উপজেলাধীন ঝাড়গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর শৈশবকাল সেখানেই কাটে। পড়ালেখায় তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বায়োকেমিস্ট্রি এ্যান্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রী অর্জন করেন। শিক্ষা জীবন শেষে ২০১৫ সালের ১ জানুয়ারী জেড. এইচ শিকদার কার্ডিয়াক কেয়ার এ্যান্ড রিসার্চ সেন্টারে বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা হিসেবে তিনি কর্মজীবন শুরু করেন। এর কিছুদিন পরেই ইসলামি ব্যাংক হাসপাতালে বায়োকেমিস্ট পদে যোগদান করেন। ২০১৬ সালের মার্চ মাসে তিনি ইবনে সিনা হাসপাতাল সিলেট লিমিটেডে বায়োকেমিস্ট ও ল্যাব ইনচার্জ হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। বর্তমানে তিনি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের অধীন কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরে কর্মরত আছেন। তিনি নগদ- রকমারি বইমেলা ২০২২ এ বেস্ট সেলার লেখক অ্যাওয়ার্ড পান।