বিয়ে জীবনচক্রের গুরুত্বপূর্ণ একটি ধাপ। নারী পুরুষের মাঝে সম্পর্ক স্থাপনের জন্য বিয়ে হচ্ছে একমাত্র বৈধ উপায়। বিয়ের মাধ্যমে দু’টি মানুষ একত্রে জীবনযাত্রা শুরু করে। একে অপরের সাথে সকল আবেগ, অনুভূতি, দুঃখ-কষ্ট ভাগাভাগি করে থাকে। এই বিয়ের মাধ্যমেই একে অপরের সকল কাজকর্মের সঙ্গী হয়ে তাদের মাঝে প্রেম-ভালোবাসা গড়ে ওঠে। দু’জন নর-নারী একই সাথে পথ চলে সম্পূর্ণ বিশ্বাস ও পরস্পরের মাঝে বোঝাপড়ার মাধ্যমে। যে দম্পতির মধ্যে যত ভালো বোঝাপড়া, সেই দম্পতি তত বেশি সুখী। এমনই এক দম্পতিকে নিয়ে লেখা হয়েছে এই ‘বৈধ সম্পর্ক’ উপন্যাসটি। সেই দম্পতি হলো আরশ ও শাইরা। যারা পরিবারের পছন্দকে গুরুত্ব দিয়ে একে অপরের সাথে বৈবাহিক বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিল। একে অপরের প্রতি ছিল বিশ্বাস আর ভালোবাসা, কিন্তু তাদের সুখের সংসারে তৃতীয় জনের আগমন ঘটে। যার নাম মিহিকা৷ যেকোনো সম্পর্কে ফাটল সৃষ্টি করে তৃতীয় ব্যক্তি। এই তৃতীয় ব্যক্তির আগমন একটি মজবুত সম্পর্কের ভিত নাড়িয়ে দিতে যথেষ্ট। তেমনই মিহিকার আগমনে আরশ ও শাইরার মাঝে এক ভয়ংকর ঘটনা ঘটে। কী সেই ঘটনা? তাদের সম্পর্ক কি টিকে থাকবে? নাকি ভেঙে যাবে সাজানো গোছানো সুখের সংসার?
সাজি আফরোজ। ৩রা মার্চ জন্মগ্রহণ করেন চট্রগ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে। পিতা মাহাফুজুল ইসলাম। মাতা আফরোজা খানম এবং স্বামী সাইফুল আলম। চট্রগ্রামের মেয়ে তিনি। বর্তমানে মনোবিজ্ঞান বিভাগে অধ্যয়নরত আছেন চট্রগ্রাম কলেজে। লেখিকা দীর্ঘদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে লেখালিখি করে আসছেন। ইতোমধ্যে তিনি তার লেখার মাধ্যমে পাঠক হৃদয়ে জায়গা তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন । প্রেম, ভালোবাসা, দেশ, প্রকৃতি, ধর্মসহ সমাজের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে লিখতে পছন্দ করেন তিনি। অসাধারণ ভাবে ফুটিয়ে তুলতে পারেন সাধারণ মানুষের জীবনের কাহিনীগুলো তার হাতের ছোঁয়ায়। ❝বান্ধবী❞ তার পঞ্চম উপন্যাস। এছাড়াও প্রকাশিত হয়েছে আরও তিনটি যৌথ বইতে তার লেখা।