আমাদের দেশে ভারত বিদ্বেষ একটা দারুণ জণপ্রিয় মতবাদ তেমনি পাকিস্তানের কাছ থেকে আলাদা হওয়াটা ঠিক হয়নি এটাও একটা ভুল ধারণা। আর এ সব ধারণাকে বুকে পুষে রেখে একটা দলের অনুসারী পশ্চাদপদ মানুষেরা সুন্দর আগামীর কথা ভাবতেই পারে না। তারা ভুলে যায় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী পৃথিবীতে কারও খপ্পরে যাওয়ার অর্থ সম্পূর্ণ আলাদা। এটা সেই ১৭৫৭ সালের ইংরেজদের দখলদারিত্বে চলে যাওয়া নয়। এটা অন্যরকম পরাধীনতা। ভিন্ন এক দাসত্ব। বর্তমানের সাথে তাল মেলাতে না পারা জনগোষ্ঠীগুলো এমনি এমনিই দাস হয়ে যাবে। তা সে স্বাধীন কোন দেশই হোক আর কোন স্বাধীন দেশের অন্তর্গত কোন প্রদেশই হোক। আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশই এর সবচেয়ে বড় উদাহরণ। বর্তমানে টিকে থাকতে গেলে, মাথা তুলে দাঁড়াতে হলে একটা জনগোষ্ঠীর সবাইকে সচেতন হতে হবে। সামনে আগাতে হবে, শীক্ষা-দীক্ষা, কারিগরি যোগ্যতা আর চিন্তা চেতনায় অগ্রসর হতে হবে। নতুবা বর্তমান অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ব্যবস্থাই তাকে গ্রাস করে ফেলবে। আমাদের সৌভাগ্য যে আমরা স্বাধীন হতে পেরেছিলাম। এটা আমাদের জন্যে বেঁচে থাকার একটা সুবর্ণ সুযোগ এনে দিয়েছে। এখন এটাকে কাজে লাগাতে হবে। কিন্তু এই সব ভাবনা ভাববার সময় কই? আমরা তাকিয়ে আছি অতীতের দিকে। আমাদের তথাকথিত অভিভাবকদের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার ক্ষত আমাদের হৃদয়ে যে চিরন্তন বিচ্ছিন্নতাবোধের জন্ম দিয়েছে তার থেকে কে আমাদের মুক্তি দেবে? সামনে এগিয়ে পরিবর্তিত বিশ্বে টিকে থাকার জন্যে নিজেকে যোগ্য করে তোলার মানসিকতা আমাদের একদম নাই। আমাদের আজও বনের বাঘে যতোটা না খাচ্ছে তার চেয়ে বেশী খাচ্ছে মনের বাঘে। এই মতবাদের মানুষগুলো কিভাবে এগিয়ে গিয়ে বিশ্ব মঞ্চে জায়গা করে নিতে পারে তার কোন ভাবনা কোথাও দেখা যাচ্ছে না। আমাদের অনেকেরই যাত্রা অতীতমুখী।
ওমর খালেদ রুমি জন্ম : ১০ ই জানুয়ারি ১৯৭৫ পিতা : মোহাম্মদ আইউব আলী হাওলাদার মাত: রহিমা খাতুন জন্মস্থান : পিরোজপুর জেলার ইন্দুরকানি উপজেলা। শিক্ষাগত যোগ্যতা: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পরিসংখ্যান স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ। পরবর্তীতে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফাইন্যান্সে এমবিএ। এলএলবি করেছেন সেন্ট্রাল ল’ কলেজ থেকে। তিনি ২২তম বিসিএস-এ জেনারেল ক্যাডারে উত্তীর্ণ হয়েছিলেন। কর্মস্থান : বর্তমানে এক্সিম ব্যাংকে এসিসট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট (এভিপি) হিসেবে কর্মরত আছেন। তার স্ত্রী শামিমা আক্তার শিউলি প্রাইম ব্যাংকে কর্মরত আছেন। নুবা ও উমায়না নামে তাদের দুটি কন্যা সন্তান আছে। ২০০১ সালে প্রথম গ্রন্থ প্রকাশিত হয়। তারপর একে একে প্রায় শতাধিক গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে।