এ গল্পের প্রবাহ সুদূর প্রাচ্যের চৈনিক নগরী গোয়াংজু’র জাংকিয়াং লু থেকে শুরু হয়ে বাংলাদেশের প্রধান নগরী ঢাকার বৈশ্বিক নতুন করপোরেট জীবনের মোহনায় এসে পতিত হয়েছে। এ গল্প নাগরিক জীবনের পরতে পরতে লুকিয়ে থাকা এক ত্রিমুখী ফ্রয়েডিয়ান সমস্যার আলেখ্য। প্রাচ্যের পার্ল নদীর মোহময় ঢেউ খেলানো তীরে অথবা ইওজেশু পার্কের হেলে পড়া রোদে দুচোখে সচ্ছল জীবনের স্বপ্ন নিয়ে বেনামী মেয়েটি জীবনের পাকে ফোটা পদ্মের মতো ভাসতে ভাসতে অবমাননাকর অতীত পেছনে ফেলে স্বনামে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার প্রত্যয়ে একদিন ফিরে আসে নিজ দেশে। শুরু হয় কর্পোরেট জীবনে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার যুদ্ধ। সে পথে চলতে গিয়ে একদিকে যেমন চলে আসে সমাজের উপরের স্তরে ওঠার ব্যবসায়ীক সুযোগ আবার তার প্রতিকূলে চলে আসে মিষ্টি মধুর প্রেমের আহ্বান, ঘর বাঁধার আহ্বান। মেয়েটি কোন্ জীবন বেছে নেবে? আত্ম প্রতিষ্ঠিত সফল নোনাজলে বসবাসের জীবন? নাকি মায়াময় নিবিড় মিষ্টি দত্তা জীবন? কোনো এক সন্ধ্যায় গোধূলীর আলোয় আঁধার নেমে এলে এক অনিশ্চিত ভাবনায় হারিয়ে যায় মেয়েটি। তবে কি তার জীবন থেকে মিলে যাবে সোনালি বিকেলের রোদ? গোধুলির রং? ধীর পায়ে নেমে আসবে কি আঁধার? এ গল্প এক সাধারণ টুরিস্ট গাইড মেয়ের অসাধারণ হয়ে ওঠার প্রাণান্তকর প্রচেষ্টা, টিকে থাকার সংগ্রাম, প্রেম, জীবন বদল করা জীবনে বৈশ্বিক নাগরিক অভিযোজনের। এ গল্প সত্যের সাথে মিথ্যার সহজাত সহবাসের। এ গল্প ভালোবাসার, স্বপ্নদেখার, স্বপ্ন গড়ার ও স্বপ্নভঙ্গের এক নাগরিক আলেখ্য।