বইয়ের ফ্ল্যাপ নৈঃশব্দ্যের বাতায়ন ঊর্মি চৌধুরী বঙ্গোপসাগরের সবুজ তটরেখা জুড়ে যেখানে নীলজল অনুপম নিসর্গ ফেরি করে বেড়ায়। যেখানে হাজার বছর ধরে পাহাড় আর সমুদ্রের সমাপ্তিহীন মিতালী হয় শো শো বাতাসের ভবঘুরে ট্রেনে। সেই সমুদ্রকন্যা চট্টগ্রামের কবি ও লেখক ঊর্মি চৌধুরীর অসামান্য কাব্যগ্রন্থ 'নৈঃশব্দ্যের বাতায়ন'। এটা কবি'র ২য় কাব্যগ্রন্থ। কবি ঊর্মি চৌধুরী শব্দের পাশাখেলায় এক অসামান্য কালাকার। যিনি স্বর্গ-মর্ত্য মন্থন করে তুলে আনেন কাব্যের অমৃত সুধা। প্রেম প্রকৃতি আর নিসর্গের কবি ঊর্মি চৌধুরী যিনি কবিতাকে সাজাতে পারেন চমৎকার রোমান্টিক কথামালা দিয়ে। যা তাঁর কবিতাকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যায়। অন্যদিকে তিনি শুধু রোমান্টিকতার কবি নন। তার কবিতা পড়লে মনে হয় কোথায় যেন ট্রাজেডির এক প্রবাহমান নায়েগ্রা এক নদী বেদনার স্রোতধারা ব্যথায় নীল হতে হতে চলে গেছে ত্রিবেনী সংগমে। কবি ঊর্মি চৌধুরী একজন আধুনিক কবি'র প্রতিকৃতি। গদ্যছন্দে লিখে তিনি কবিতার শরীর নির্মাণ করে থাকেন। আধুনিক কবিতার যতগুলো শর্ত আছে তার অনেক গুনেই তাঁর কবিতা গুনান্বিত। সেদিক দিয়ে ঊর্মি চৌধুরী আপদমস্তক একজন আধুনিক কবি। কবিতার যতগুলো অনুষঙ্গ আছে সেই সব উপমা, তুলনা, অলংকার, রূপক প্রায় সবকটিই তাঁর কবিতায় বিদ্যমান। কবি'র ভাবনা এক অনবদ্য সংসর্পী গতিময়তায় চষে বেড়াতে পারেন। তাই তিনি লিখতে পারেন-- 'আজো রাত্রির শেষের দিকে প্রায় আমার আকাশে তারারা অবসরে যাবে সৌরজগতের বলয়ে, স্নিগ্ধ আলোর গহব্বরে ডুব দিবে একটি নক্ষত্রের রাত, নীল জোছনার মায়াবী চাঁদ ঐ দূরের শুকতারাটাও। তাঁর কবিতা পড়লে যে কেউ মেনে নিতে বাধ্য হবেন যে বাংলা কবিতায় তার আসন পাকাপোক্ত হয়ে গেছে। আমার বিশ্বাস কবি ঊর্মি চৌধুরী তাঁর দুরন্ত উর্মীমালার কলমে বাংলা কবিতার বেলাভূমি রাঙিয়ে দেবেন শেষ বিকেলের সোনালি সূর্যের রঙে। কবি'র কাব্যগ্রন্থ পড়ে মনে হয়েছে তাঁর প্রতিটি কবিতাই সেরা কবিতা। তাঁর প্রতিটি কবিতাই উৎকর্ষের মানদন্ডে অসাধারণ আবীরে রাঙা। কবি'র কবিতা ব্যাপক পাঠকপ্রিয়তা পাবে আমার বিশ্বাস। কবির জন্য শুভ কামনা। মাহবুব খান কবি ঔপন্যাসিক প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব
বাবা ওয়াহিদুল আলম চৌধুরী ও মা রওশন আরা বেগম এর চার সন্তানের মধ্যে বড় তিনি। চট্টগ্রামস্থ ফটিকছড়ি উপজেলার হালদা পাড়ের পূর্ব ধলই গ্রামের সম্ভ্রান্ত আরবান আলী সওদাগর বাড়ির স্বনামধন্য আবদুল জলিল মিঞার নাতনী। স্নাতকে প্রথম শ্রেণি সহ উদ্ভিদ বিদ্যায় স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছেন চট্টগ্রাম কলেজ থেকে। বেশ কিছুদিন শিক্ষকতায় জড়িত ছিলেন। স্বামী আবদুল ওয়ারেছ নূরী বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হিসাবে নিয়োজিত আছেন মানিকছড়ি গিরি মৈত্রি সরকারি কলেজে। দীর্ঘদিন থেকেই লেখালেখির সাথে জড়িত হলেও 'রোদেলা আকাশে এক চিলতে ছায়ামেঘ তুমি' তাঁর প্রকাশিত প্রথম কাব্যগ্রন্থ। তিনি বিভিন্ন অনলাইন পেইজে লিখছেন নিয়মিত।