বাংলা একাডেমিতে কর্মরত বাংলাসাহিত্যে নিবেদিত মনি হায়দার এরই মধ্যে অর্জন করেছেন- অগ্রণী ব্যাংক শিশু সাহিত্য পুরষ্কার (২০১০, ২০১৮), এম, নূরুল কাদের শিশু সাহিত্য পুরস্কার (২০১২), শ্রীপুর সাহিত্য পরিষদ কথাসাহিত্য পুরস্কার (২০১৯), বগুড়া লেখকচক্র কথাসাহিত্য পুরষ্কার (২০২১)। বাংলাদেশ ও বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকেই তিনি সাহিত্য রচনার মূল পটভূমি মনে করেন। শাপলা ফুলের সৌধে ঘেরা, নদীর স্রোতে মাতোয়ারা, ধান কাউনের ঘ্রাণে মাখা, পাখির ডানায় সুন্দর আঁকা, পালতোলা নৌকার অবাক যাত্রা, মৌরীফুলের গন্ধে ভরা, মেঠোপথের ছায়ায় থাকা বনবিথীকা... বাংলাদেশের অপরূপ সৌন্দর্য। প্রকৃতির উপহার এই সৌন্দর্যরাজি ১৯৭১ সালে হায়েনা পাকিস্তানি সৈন্যরা জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ছারখার করেছিল। পৈচাশিক উল্লাসে হত্যা করেছিল ত্রিশ লাখ বাঙালি। কিন্ত মাতৃভূমির স্বাধীনতার জন্য রুখে দাঁড়িয়েছিল বাংলার প্রায় সাড়ে সাতকোটি মানুষ। ঘরে ঘরে গড়ে তুলেছিল দুর্ভেদ্য দুর্গ। পথে-প্রান্তরে, হাটে-বাজারে প্রতিরোধ গড়েছিল ক্ষিপ্রগতির মুক্তিযোদ্ধারা। ফলে ছড়িয়ে পড়েছিল যুদ্ধ সারা বাংলায়। ঘটেছিল অজস্র অগনিত ঘটনা। সেইসব বিচিত্র রক্তহীম ঘটনা নিয়ে শিশুকিশোর বন্ধুদের জন্য লিখেছি গল্প। মুক্তিযুদ্ধের কিশোর গল্পের মধ্যে সেই ভয়াল একাত্তরের প্রতিদিনের রক্তআখরের ঘটনাবলি বায়ান্নোর প্রাণের ভাষায় লিখেছি, গল্পের বিস্তারে আগামী নাগরিকদের জন্য। প্রতিটি গল্পে পাওয়া যাবে দুঃখভারাক্রান্ত দিন-রাত্রির বেদনা, কষ্ট, সাহস আর লড়ায়ের অসাধারণ ঘটনা। পড়লে মুগ্ধ হবে সেইসব অজানা মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্ব আর সাহসের মহান উত্তরাধিকার হিসেবে।
জন্ম ১৯৬৮ সালে পহেলা মে [সার্টিফিকেট অনুসারে] বৃহত্তর বরিশালের পিরোজপুর জেলার ভানডারিয়া উপজেলার বোথলা গ্রামে, প্রমত্ত কচানদীর পারে। শৈশব থেকে লেখালেখির শুরু।