‘এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’। ৭ মার্চে বঙ্গবন্ধুর এই ঐতিহাসিক ভাষণের প্রেরণায় বাঙালি জাতি মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীনতা অর্জন করে। এ স্বাধীনতা আমাদের গৌরবের। কারণ এর জন্য অসংখ্য প্রাণদান ও ত্যাগ স্বীকার করতে হয়েছিল। এ স্বাধীনতার পেছনে যে মানুষটি জীবন উৎসর্গ করেছিলেন তাকেই নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হতে হয়েছিল। এটা বাঙালি জাতির লজ্জা। সকল ষড়যন্ত্র ও দেশবিরোধী অপশক্তিকে উপেক্ষা করে বঙ্গবন্ধুর চেতনা, আদর্শ লালন করে বর্তমানে এ দেশ পরিচালিত হচ্ছে। বঙ্গবন্ধুকন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদৃঢ় ও সুযোগ্য নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা নির্মাণের কাজ চলছে পূর্ণ উদ্যমে। কবি ইফতেখার হালিম মুক্তিযুদ্ধের একজন প্রত্যক্ষদর্শী। পাকিস্তানি হানাদারের যে পৈশাচিকতা প্রত্যক্ষ করেছেন তা তিনি কিছুতে ভুলতে পারেননি জীবনের দীর্ঘ পথ অতিক্রম করেও। সেই ভয়াবহ স্মৃতি আর বাঙালির মুক্তিযুদ্ধের বীরত্ব, গৌরব তার কবিচিত্ত জুড়ে আছে। একজন বঙ্গবন্ধুর মধ্য দিয়ে কবি একটি জাতি, একটি দেশ, একটি স্বপ্নের কথা নান্দনিকভাবে কবিতায় প্রকাশ করেছেন। কবির এ নিবেদন শুধু কাব্যপাঠকদেরই না, বাঙালি জাতির আত্ম-অনুসন্ধানের অনুপ্রেরণা জোগাবে।
ইফতেখার হালিমের জন্ম ১৯৬২ সালের ১৭ই ফেব্রæয়ারি। পিতা মো. আবদুল লতিফ ও মাতা হাজেরা খাতুন। পৈতৃক নিবাস ময়মনসিংহের ঈশ^রগঞ্জ উপজেলার বৃ-কাঠালিয়া গ্রামে। সোহাগী ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয় হতে এসএসসি এবং গৌরীপুর কলেজ হতে এইচএসসি পাস করেন। সৈয়দপুর হোমিওপ্যাথিক মেডিক্যাল কলেজ (নৈশ) হতে ডিএইচএমএস পাস করেন। দুই ভাই ও ছয় বোনের মধ্যে তিনি সবার বড়। ইফতেখার হালিম নামে কবি পরিচিতি পেলেও তাঁর প্রকৃত নাম মো. আবদুল হালিম। বর্তমানে তিনি রেলভবন, ঢাকায় কর্মরত আছেন। প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা ১০টি।