আশফাক ফাহিম হন্যে হয়ে পূর্ণতাকে খুঁজছেন।তাঁর লেখার একটি বিশেষ জায়গায় তার খুব প্রয়োজন। একটি বাস্তব ও কষ্টমাখা গল্পটির জন্যই কি এতোটা অপেক্ষা ! পুর্ণতার সাথে দেখা হওয়াটা জরুরী। দীর্ঘ এক মাস পরে তিনি বাসা থেকে বের হলেন। রিকশা নিতে যাচ্ছিলেন। হঠাৎ দেখলেন সেই মেয়েটি…. এভাবেই এগুতে থাকে গল্প। গল্প নাকি সত্যি ! আরিফুর রহমানের 'জানি সে আসবে না' উপন্যাসটি একটি সত্যি ও কষ্টভরা জীবনের গল্প। এমন একটা গল্প যেটা শুনলেই গা শিউরে ওঠে। যে কেউ গল্পটা শুনলে বলবে- ধুর, এটা আবার হয় নাকি? কিন্তু উপন্যাসের আখ্যানের মতই এই লেখককে গল্পটি বলেছেন গল্পের প্রধান চরিত্র। গল্পকার দেশের বাইরে থাকলেও তাঁর যোগাযোগের নাম্বার খুঁজে বের করে ফোন করেছে সে। তারপর একে একে তার জীবনের গল্পটি বলেছে। একসময় বলেছে- লেখক, গল্পটি আপনি পাঠককে জানান। তাদের বিশ্বাস করিয়ে ছাড়ুন, এমনও হতে পারে, এমনও হয় পৃথিবীতে। “ একদিন পুর্ণতা সেন দাঁড়ায় নদীটির ধারে। যে নদী আশফাক ফাহিম খুব পছন্দ করেছিলো। বৃষ্টির সঙ্গে ঠাণ্ডা বাতাস বইছে। কিন্তু তার শীত লাগছে না। অদ্ভুত এক শিহরন হচ্ছে।” জানি সে আসবে না- তেমনই এক শিহরনের গল্প, অপেক্ষার গল্প।
নাম, ধাম, বয়স, সময় বিবিধের ভিড়ে তিনি হারাতে চাননি কোনদিন। তাই তাঁর পরিচয় অতি সাধারণ। লেখার আনন্দে লেখেন, সৃষ্টি সুখের উল্লাসে গল্প বলেন, আর ভাগ করে নিতে ভালোবাসেন নানা রকমের গল্প সকল বন্ধুদের সঙ্গে।ছোটবেলায় কেটেছে সিরাজগঞ্জের কাজিপুরের বিস্তৃত সবুজ গ্রাম নাটুয়ার পাড়ায়। বাবা প্রগতিশীল রাজনীতিবিদ আব্দুল কুদ্দুস সরকার, মা আসমা সরকার। ছয় ভাই-বোনের মধ্যে কনিষ্ট সন্তান।জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টারস সম্পন্ন করেন তিনি।হুটহাট করে ঘুরতে বের হওয়া এবং জমিয়ে আড্ডা দেওয়া তাঁর অন্যরকম ভালোলাগা। বর্তমানে বাস করছেন অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে। অস্ট্রেলিয়া থেকে প্রকাশিত প্রশান্তিকা পত্রিকার বার্তা সম্পাদক হিসেবে কর্মরত আছেন। যাঁরা তাকে চেনেন এবং জানেন তাঁরাই বলেন, তিনি তাঁর লেখার মতোই সহজ ও সরল। তাঁর সাতটি উপন্যাস প্রকাশিত হয়েছে। বাংলাদেশের বই বিক্রির আরো একটি পোর্টাল ‘বইফেরী বেস্টসেলার আ্যওয়ার্ড ২০২৩’ এ জিতে নেয় আরিফুর রহমানের উপন্যাস আমাদের ঠিকানা বদলে গেছে। তাঁর অন্যান্য উপন্যাস ‘এবং একা’, ' জানি সে আসবে না' , 'দহন দিনের গান’, ‘নিঃশব্দ প্রহরে’, ‘সন্ধ্যারাগ’, ‘স্বপ্নজাল’ পাঠকমহলে জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। পাঠকদের ভালোবাসায় এবারের উপন্যাস ‘সাউদার্ন ভ্যালি ওয়ে’।