তুচ্ছ কোন কারণে মানুষ যেমন তার ঠিকানা বদল করে আবার ঘোর নিদানকালেও শত অত্যাচার, অনাচার কিংবা বঞ্চনার পরেও মানুষ মানুষেরই কাছে থাকে, ঠিকানা বদল করতে চায়না। কিন্তু এখানে আখলাকের ঠিকানা বদলে গেছে। আখলাক উল্লাহ এই কাহিনীর প্রধান চরিত্র। সে প্রায় ৭ বছর ধরে এই শহরে বাস করে আসছে। জীবনের এক ঘোরকালে তার সাথে পরিচয় হয় একজন বাঙালি ক্যাবে ড্যান্সার মেয়ের সাথে। জীবনে স্বস্তি পাওয়ার আশায় বদলে ফেলে নিজের ঠিকানাও। নির্জন পাহাড়ে এক বৃদ্ধার বাড়ি ভাড়া করে থাকা শুরু করে। তারপরই ঘটে আরও অনেক ঠিকানা এবং জীবন বদলের কাহিনী…. ‘আমাদের ঠিকানা বদলে গেছে’ উপন্যাসে কথাসাহিত্যিক আরিফুর রহমান অন্যরকম ঠিকানা বদলের আখ্যান গড়েছেন। লেখকের নিজের জন্ম এবং বেড়ে ওঠা যমুনা বিধৌত অঞ্চলে। জীবদ্দশায় বেশ কয়েকবার নদী ভাঙনে তাঁর ঠিকানা বদলে গেছে। তারপর দেশান্তরী হয়ে এখন বাস করছেন প্রশান্ত পারের শহর সিডনিতে। সুতরাং ঠিকানা বদলের ইতিহাস তাঁর মতো আর কে বা বলতে পারেন ! তাঁর জনপ্রিয় ‘এবং একা’, ‘জানি সে আসবে না’, ‘নিঃশব্দ প্রহরে’, ‘দহন দিনের গান’ কিংবা অন্য সকল উপন্যাসের মতই এখানেও মানব মানবীর প্রেম, দারিদ্র, সমাজচিত্র সহ বিভিন্ন দিক ফুটে উঠেছে।
নাম, ধাম, বয়স, সময় বিবিধের ভিড়ে তিনি হারাতে চাননি কোনদিন। তাই তাঁর পরিচয় অতি সাধারণ। লেখার আনন্দে লেখেন, সৃষ্টি সুখের উল্লাসে গল্প বলেন, আর ভাগ করে নিতে ভালোবাসেন নানা রকমের গল্প সকল বন্ধুদের সঙ্গে।ছোটবেলায় কেটেছে সিরাজগঞ্জের কাজিপুরের বিস্তৃত সবুজ গ্রাম নাটুয়ার পাড়ায়। বাবা প্রগতিশীল রাজনীতিবিদ আব্দুল কুদ্দুস সরকার, মা আসমা সরকার। ছয় ভাই-বোনের মধ্যে কনিষ্ট সন্তান।জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টারস সম্পন্ন করেন তিনি।হুটহাট করে ঘুরতে বের হওয়া এবং জমিয়ে আড্ডা দেওয়া তাঁর অন্যরকম ভালোলাগা। বর্তমানে বাস করছেন অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে। অস্ট্রেলিয়া থেকে প্রকাশিত প্রশান্তিকা পত্রিকার বার্তা সম্পাদক হিসেবে কর্মরত আছেন। যাঁরা তাকে চেনেন এবং জানেন তাঁরাই বলেন, তিনি তাঁর লেখার মতোই সহজ ও সরল। তাঁর সাতটি উপন্যাস প্রকাশিত হয়েছে। বাংলাদেশের বই বিক্রির আরো একটি পোর্টাল ‘বইফেরী বেস্টসেলার আ্যওয়ার্ড ২০২৩’ এ জিতে নেয় আরিফুর রহমানের উপন্যাস আমাদের ঠিকানা বদলে গেছে। তাঁর অন্যান্য উপন্যাস ‘এবং একা’, ' জানি সে আসবে না' , 'দহন দিনের গান’, ‘নিঃশব্দ প্রহরে’, ‘সন্ধ্যারাগ’, ‘স্বপ্নজাল’ পাঠকমহলে জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। পাঠকদের ভালোবাসায় এবারের উপন্যাস ‘সাউদার্ন ভ্যালি ওয়ে’।