ওয়েস্ট ভার্জিনিয়ার নারকীয় অভিজ্ঞতা এখনও মন থেকে মুছে ফেলতে পারেনি আর্মি সিআইডি ইনভেস্টিগেটর জন পুলার। এর রেশ কাটতে না কাটতেই ফ্লোরিডার প্যারাডাইস শহর থেকে চিঠি আসল তার বাবার নামে,প্রেরক আর কেউ না;পুলারের আপন ফুফু। চিঠিতে রহস্যের গন্ধ; কিছু একটা যেন ঠিক নেই। সেই গন্ধ শুঁকে ব্লাডহাউন্ডের মত ছিমছাম শহর প্যারাডাইসে এসে হাজির হল পুলার। কিন্তু সেখানে এসেই প্রথম ধাক্কা খেল সে;ওয়েলকামিং গিফট হিসেবে তাকে ফুফুর ডেডবডি দেওয়া হল। এর ঠিক পরপরই শহরে একের পর এক মানুষ খুন হতে লাগল। কিন্তু কেন? লোকাল পুলিশের সাথে মিলে আনঅফিশিয়ালি ঘটনার তদন্তে নামল পুলার। কেসটা এখন তার জন্য পার্সোনাল হয়ে গেছে। কিন্তু যতই সামনে আগাতে থাকল,ততই রহস্যের বেড়াজালে আটকে যেতে থাকল সে। এরই মধ্যে পুলারের দেখা হল দৈত্যাকৃতির এক লোক এবং লাস্যময়ী এক তরুণীর সাথে। কি উদ্দেশ্য রয়েছে তাদের? দুইজন ছোট্ট বাচ্চা হঠাৎ গায়েব হয়ে গেল প্যারাডাইস থেকে। কি আছে তাদের ভাগ্যে। খুঁজতে গিয়ে পুলার এমন কিছুর মুখোমুখি হল,যার অস্তিত্ব সে কল্পনাও করেনি। অন্তত এই একবিংশ শতাব্দীতে তো নয়ই। পুলার কি পারবে সব ঘটনার সুতো একসাথে জোড়া লাগাতে? নাকি সত্যকে ধামাচাপা দেয়ার জন্য প্রতিপক্ষ পুলারকেই সরিয়ে দেবে দুনিয়া থেকে। অ্যাকশন আর টানটান উত্তেজনায় ভরপুর ডেভিড বালডাচির জন পুলার সিরিজের দ্বিতীয় খণ্ড ‘দ্য ফরগটেন' এ আপনাকে স্বাগতম!!
ডেভিড বালডাচি ১৯৬০ সালে আমেরিকার ভার্জিনিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন। ভার্জিনিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন করার পর আইনের উপর উচ্চতর ডিগ্রি নিয়ে নয় বছর ওয়াশিংটন ডিসিতে আইন পেশায় নিযুক্ত ছিলেন। এপর্যন্ত ৪০টি থ্রিলার উপন্যাস লিখেছেন তিনি; যা ৪৫টি ভাষায় অনূদিত হয়েছে এবং সারা পৃথিবী ব্যাপী প্রায় ১১০ মিলিয়ন কপি বই বিক্রি হয়েছে। তার প্রথম উপন্যাস 'অ্যাবসলিউট পাওয়ার' এতটাই জনপ্রিয় হয় যে, এ বইয়ের কাহিনীর উপর ভিত্তি করে হলিউডে মুভি বানানো হয়। 'নো ম্যান'স ল্যান্ড' লেখকের জন পুলার সিরিজের চতুর্থ উপন্যাস। সিরিজের প্রথম উপন্যাস 'জিরো ডে'। ডেভিড বালডাচি বর্তমানে ভার্জিনিয়ায় বসবাস করছেন। লেখালেখির পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন সামাজিক এবং মানবিক সাহায্য সংস্থার সাথে জড়িত আছেন। নিরক্ষরতা দূর করার জন্য কাজ করে যাওয়া 'উইশ ইউ ওয়েল ফাউন্ডেশন' এর কো-ফাউন্ডার তিনি।