কবিতা সাহিত্যের আদিমতম একটি শাখা। ধারণা করা হয়, যখন পৃথিবীর কোনো অক্ষর জ্ঞান ছিল না, তখনও মানুষের ভাবনায় উচ্চারণে কবিতা ছিল। কবিতা ঋতু বদলের মতো করে নানা সময়ে নানা রূপে এসেছে। কবিতার একেক সময় একেক রুপগুলোই আজ কবিতার বিভিন্ন শাখায় পরিণত হয়েছে। গ্রিক কবি ও দার্শনিক অ্যারিস্টটল বলেছেন, দর্শনের চেয়ে বেশি, ইতিহাসের চেয়েও বড় কবিতা। নীল পেয়ালার বিষ কাব্যগ্রন্থটিকে-প্রেম প্রণয়, বিরহ মিলন, সুখ দুঃখের যৌথ পালকে সাজানো হয়েছে। কবিতা পৃথিবীর সেই মাধ্যম, যেখানে নিজের ভেতরকে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে প্রকাশ করা যায়। যার ধরা বাধা কোনো সীমানা নেই। নীল পেয়ালার বিষ কাব্য গ্রন্থটিতে আধুনিক ধারাকে ঠিক রেখে, অন্তমিল ছন্দ মিলকে প্রাধান্য না দিয়ে চারপাশে ঘটে যাওয়া যাপিত জীবনের চিত্রকে তুলে আনা হয়েছে। যা ব্যক্তি জীবন, সামাজিক এবং পারিপার্শ্বিকতায় শতভাগ ঘটে যায় প্রায় প্রতিদিন। কবিতা মানেই শুধু ছন্দে ছন্দে বলা লাইন নয়। কবিতা জীবনের জয়গানের কথা বলে, সামাজিক অবক্ষয়, নৈতিকতা এবং দূরে থেকেও কাছের হয়ে ওঠার কথা বলে। একটি কবিতায় কখনও কখনও গোটা জীবনের ক্যানভাসকে তুলে আনে, কবিতার শব্দ এবং বাক্যের রং তুলি দিয়ে।