"এবার তবে থাক" কাব্য গ্রন্থটি ,প্রেম প্রনয় বিরহ,সামাজিক অবক্ষয় অসংগতি, স্বাধীনতা, বিজয় - এরকম অনেক গুলো বিষয়ের কবিতার পালকে সাজানো বইটি। কোনো প্রস্থানেই এখন আর তেমন কষ্ট হয় না, যেমন কোনো আনন্দ হয় না প্রত্যাবর্তনে। যে চিঠি কোনোদিন ডাকবাক্সের গহ্বর দেখেনি সে কী করে বুঝবে প্রাপকের হাতে পৌঁছানোয় আনন্দ কতোখানি? না-পাঠানো চিঠির মতো পড়ে থেকে থেকে এখন আর কোনো প্রস্থান কিংবা প্রত্যাবর্তনে আমার এসে যায় না কিছু। তবুও চলে যাবে বলে এই যে এতো আয়োজন, এতো-এতো ভালোবাসা-বাসি, এতো-এতো রাত জাগা, যাবতীয় উপাখ্যান কী এমন তুমুল প্রয়োজন ছিলো এসবের? কী এমন প্রয়োজন ছিলো লুকোনো বিষের পেয়ালায় সঞ্জীবনী সূধা ঢেলে ঠোঁটে ঠোঁট উষ্ণতায় ডুবে যাওয়া কালিন্দীর ঠান্ডায়; অথবা কোনো শ্রাবণের ভরা পূর্ণিমায় পুড়ে-পুড়ে ঘোলা চোখ হারানো অন্তর্বাস, লাল সন্ধ্যায় মুগ্ধ নিথর দিঘীতে ডুবসাঁতার? প্রয়োজন ছিলো না কোনো এতো আয়োজন। আমিতো চাইনি এসবের কিছু কোনোদিন। চেয়েছি শুধু পোড়া ঘরখানি যেন পোড়ে না আবারও, যেন কোনো প্রাপকের হাত সামান্য মমতায় ভাঁজ খুলে খুলে পড়ে নেয় অনাদরে পড়ে থাকা ধূলোজমা জীবনের চিঠি। কষ্টের দলা গিলে খেয়ে আমি তার পায়ে শুধু সঁপে দেবো কান্নার নুনে ভরা সমুদয় কলস। অথচ, আবারও সেই প্রত্যাবর্তন, অথচ আবারও সেই কলিজায় টান আয়োজন প্রস্থানের।