প্রায় দুই দশক ধরেই উনড়বয়ন জগতে নিজেকে নিবেদন করে চলেছেন মো. তানজিমুল ইসলাম/তানজিম। সদা হাস্যোজ্জ্বল ইতিবাচক মানুষটির চলনে বলনে লেখালেখি জগতের ছাপ খুঁজে পাওয়া যায়। এবারের একুশে বইমেলায় প্রিয় ব্যক্তিত্ব কবি ও লেখক তানজিমুল ইসলাম’ এর লেখা ‘এসো, ঐক্যের মিছিলে’ নামক কাব্য-গল্প প্রকাশিত হতে যাচ্ছে জেনে আনন্দিত। লেখালেখির পাশাপাশি মানুষকে আপন করে নেওয়ার যে গুণাবলি রয়েছে, সেটি যেন তানজিমের এক বিশেষ প্রতিভা! পেশাগত জীবনে তানজিম একজন কঠোর পরিশ্রমী মানুষ; যিনি শিশুসহ নিপীড়িত মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করে চলেছেন অবিরত। একটি দূরুহ কাজের পাশাপাশি কিভাবে যেন সমাজ পরিবর্তনের ভাবনায় নিজেকে নিয়োজিত করলেন নতুন করে? এটা ভেবে অবাক হতে হয় যে, এত প্রতিবন্ধকতা আর সীমাবদ্ধতার মাঝেও তানজিম স্বপড়ব দেখেন এবং স্বপড়ববাজ হিসেবে মানুষকে ভাবিয়ে তোলেন। এত কিছুর পরেও ব্যক্তি তানজিম অত্যন্ত প্রগতিশীল চেতনায় বিশ্বাস করেন! সাংগঠনিক ও নেতৃত্ব বিকাশের ক্ষেত্রে তাঁর অদম্য পথচলা অব্যাহত হোক। তানজিম গল্প লিখেছেন যখন মানুষ অধিকার বঞ্চিত হচ্ছে, তানজিম গল্প লিখছেন যখন মানুষ স্বাধীনতার ঢেঁকুর গিলে ক্ষমতালিপ্সুদের দ্বারা নতুন করে নিষ্পেশিত হচ্ছে; তানজিম গল্প লিখছেন যখন মানুষের মানবিক মূল্যবোধ নিয়ে প্রশড়ব ওঠে, তানজিম কবিতা লিখছেন যখন মানুষ গোঁড়ামিতে আবদ্ধ। তানজিম লিখেই চলেছেন জাতি যখন নৈরাজ্য, অনিয়ম-দুর্নীতি আর পাশবিকতায় জর্জরিত। তানজিম লোভাতুর হয়ে নিজেকে বিকিয়ে দিতে পারতেন কোনো সুবিধাজনক প্ল্যাটফর্মে সুখ্যাতির অন্বেষণে। তা-না হয়ে ভালোবাসায় অন্ধ হলেন; নিজেকে নিবেদিত করলেন আমজনতার পাশে থেকে। অন্ধ না হলে কেউ আমার মতো সাধারণ মানুষের অনুপ্রেরণায় কবি ও লেখক হিসেবে নিজেকে প্রকাশ করে? সাংস্কৃতিক আকালের এই বাংলাদেশে তানজিমের মতো লেখকদের প্রতিদিন জন্ম হোক এই শুভ কামনায় ।