কবি কাজী হেলাল নরম মাটি আর ঘাসফুলকে আজন্ম লালন করে চলেছেন। কবির ব্যক্তিগত জীবন তাঁর কবিতা থেকে বিচ্ছিন্ন নয়। জন্মভূমি বাংলাদেশ থেকে বিশ সহস্র কিলো মিটার দূরে কানাডায় বসবাস করেন কবি; কিন্তু মনেপ্রাণে লালন করেন বরেন্দ্রভূমি তথা সমগ্র বাংলার ভূমিজ সত্তাকে। কবির হৃদয়জুড়ে বাংলা বাঙালি আর বাংলাদেশের লাল-সবুজের ক্যানভাস। তাঁর কবিতায় মাটির গন্ধ, দেহাতি মানুষের সুখ দুঃখ এবং দ্রোহ সহজ সুন্দর সাবলীলভাবে প্রকাশিত। কাজী হেলালের তাঁর দায়ভারঋদ্ধ কাব্যশব্দগুচ্ছ উচ্চারণ করতে গিয়ে আমি স্পন্দিত হই। তাঁর কবিতা পড়তে পড়তে বুকের গভীরে ধ্বনির অনুরণন অনুভব করি। তাঁর প্রেম মানবতা এবং দ্রোহের কবিতাগুলো আবৃত্তি করতে গিয়ে মনে হয় কবিতাগুলো আমারও, শুধুই কবির নয়। কবির কবিতার বিষয়ব্যাপ্তি বাংলা থেকে বিশ্ব; বাঙালি থেকে বিশ্বমানব। তিনি ইতিহাসলগ্ন কবি। তাঁর কবিতায় ইতিহাস যেনো কথা কয় এবং কবি তাঁর কবিতায় মনীষী কবি বীর এবং জাতির জনকের কথা উঠেছে বারবার। ‘পানকৌড়ির ডুবসাঁতার’ কাব্যে কবি কাজী হেলালের সমগ্র চেতনা ও সত্তার প্রকাশ ঘটেছে। বঙ্গবন্ধু, শহিদ জননী, মুক্তিযুদ্ধ এবং বাংলার অপরূপ রূপ আনন্দ ও বেদনার কাব্য হয়ে উঠেছে পানকৌড়ির ডুবসাঁতার। এই কাব্যে গদ্য কবিতার পাশাপাশি কয়েকটি স্বরবৃত্ত ছন্দের কবিতাও সংকলিত হয়েছে। পানকৌড়ির ডুবসাঁতার পাঠক-সমাদৃত হবে বলে বিশ্বাস করি। কবিকে অভিনন্দন। রবিশঙ্কর মৈত্রী কবি লেখক আবৃত্তিকার আলেস, ফ্রান্স