১৯৪৭-এর ১৫ই আগস্ট ভারতবর্ষের স্বাধীনতা দিবস যখন ঘােষণা হয়েছিল, তখন সেই জয়ের আনন্দে চাপা পড়ে যায় অনেক কান্না, অত্যাচার, অনেক প্রাণের জীবন্বত হয়ে বেঁচে থাকা। পরবর্তীকালে অগ্নিযুগের বিপ্লবীরা অল্প হলেও স্বীকৃতি পেয়েছিলেন। কিন্তু ইতিহাসে যাঁদের কথা সেভাবে আসেনি, সরকারি ফাইলে যাঁরা ছিলেন ‘ওয়ার-ক্রিমিনাল’ বা ‘যুদ্ধ-অপরাধী’, তাঁরাই কিন্তু বিদেশের মাটিতে স্বাধীনতার জন্য নিজেদের উৎসর্গ করেছিলেন। তাঁরা আজাদ-হিন্দ-ফৌজের সৈনিক, তাঁরা নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর যােদ্ধা এদেশের মানুষ জানলই না তাঁদের বলিদান। তাঁদের জায়গা হল কারাগারে। রাতের অন্ধকারে গুলি করে মারা হল তাঁদের। ওঁরা নাকি ‘যুদ্ধ-অপরাধী’! ইতিহাস তাঁদের ভুলে গেলেও কেউ কেউ হয়তাে ভুলতে পারে না। ঋত্বিক আর বহ্নি এই প্রজন্মের দুটি ছেলেমেয়ে, যাদের লড়াই শুরু হয়। এইসব ‘যুদ্ধ-অপরাধী’-দের স্বীকৃতির জন্য। ঋত্বিকের ঠাকুমাও এঁদেরই একজন! কিন্তু এ লড়াই তাে সহজ লড়াই নয় ! কেমন করে ভয়ঙ্কর সব বাধা কাটিয়ে এগােবে ঋত্বিক? ওদের স্বপ্ন কি সফল হবে? আজাদ-হিন্দ-বাহিনীর লড়াই, তাঁদের পরিণতি এবং তাঁদের স্বীকৃতির জন্য দুই তরুণ-তরুণীর অবিরাম লড়াইয়ের মর্মস্পর্শী রােমাঞ্চকর আখ্যান ‘যুদ্ধ-অপরাধী?’ নবীন লেখিকার কলমে উদ্ভাসিত হয়ে উঠেছে।