সবুজ’ আমার বর। বিয়ের সম্পর্কের বাইরেও সে ব্যক্তিগতভাবে আমার প্রিয় থেকে প্রিয়তম একজন মানুষ। আর ‘চ. বি. ক্যাম্পাস’ আমার কাছে পুণ্য থেকে পুণ্যতম একটি স্থান যেখানে শিক্ষার শেষ পাঠ নিয়েছি। সেই সাথে কাটিয়েছি জীবনের সবচেয়ে আবেগমাখা দিনগুলো। সবুজ আর চ. বি. ক্যাম্পাস, এই দুইয়ের মিলনে যে কথাগুলো ভ্রমরের মতো কানের কাছে গুনগুনিয়ে প্রতিনিয়ত গল্প বা কাব্য সম্বলিত একটি বই হতে চেয়েছে, সেই কথাগুলো শেষ পর্যšত্ম শব্দবন্দি করতে পেরেছি ঠিকই, তবে সফলতার সাথে পেরেছি কিনা- তা বিচারের দায়িত্ব ছেড়ে দিলাম আমার প্রিয় এবং সম্মানিত পাঠকদের উপর। এই বইয়ের পাতায় পাতায় আছে প্রকৃতি, আছে প্রেম। আছে জীবনকে ঘিরে আনন্দ ও বিষাদময় স্মৃতিচারণ। প্রকৃতি নানা রূপ, রস, গন্ধ নিয়ে দুহাত বাড়িয়ে আছে আমাদের মন ভালো করার জন্য, তবু আমরা নানা পার্থিব সুখ-দুঃখে মেতে প্রকৃতিকে নিজের মনের মতো করে কখনও সুখী, কখনও দুঃখী বানাই। প্রকৃতির নিজস্ব রূপকে ঢেকে দিই নিজের মনের ভাব বা দেখার দৃষ্টি দিয়ে। তাই সাদা-নীল আকাশকে কখনও শুভ্র-সুন্দর-পবিত্র মনে হয়, কখনও বেদনার্ত। আবার আগুনরঙা আকাশকে কখনও মনে হয় ভালোবাসার আবিরে রাঙানো সুন্দর, কখনও আবার অনল, দহন বা জ্বালা। আমি আমার মনের মতো করে আঁকতে চেয়েছি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের প্রকৃতিকে। আমার কথার সাথি হয়ে, শ্রোতা হয়ে, মনের জোর হয়ে পুরো ভ্রমণটিতে আছে আমার কাছের মানুষটি। পাঠক পড়তে পড়তে যদি চ. বি. ক্যাম্পাসের প্রকৃতিকে আর আমাদের দেখতে পান তবেই আমার চেষ্টা স্বার্থক।
নড়াইল জেলার বড়দিয়া গ্রামে শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে বেড়ে ওঠা। গান, লেখাপড়া, খেলাধুলা আর আনন্দের মধ্য দিয়ে কাটে শৈশব। আট বছর বয়সে বাবাকে হারালেও মা আর বড় ভাইদের নিবিড় ছায়ায় কাটে জীবন। স্বপ্ন ছিল গানের জগতে নিজেকে সঁপে দেওয়ার। এসএসসি পাস করার পর বড় ভাইয়ের কর্মস্থল চট্টগ্রামে গিয়ে চট্টগ্রাম সরকারি মহিলা কলেজ থেকে এইচএসসি এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিবিএ ও এমবিএ পাস করে ২০০৩ সালে ঢাকায় কর্মজীবন শুরু করেন ব্যাংকিং সেক্টরে।। তারপর বৈবাহিক জীবনে পদার্পণ। ২০০৯ সালে সন্তানের প্রয়ােজনকে গুরুত্ব দিয়ে চাকরি ও গান ছেড়ে পুরােপুরি মাতৃত্বের স্বাদ নেন। বর্তমানে দুই সন্তানের সন্তুষ্ট মা।। ২০১৮ সালে মাকে হারিয়ে নিজেকে সামলাতে কৈশাের ও যৌবনের লালিত শখ লেখালেখিতে মনােনিবেশ করেন।