তপ্ত সময়ে রম্য হচ্ছে এক জাররা হিমেল হাওয়া। সারা দিনের অস্থিরতা বসের ধমক, দুর্নীতির গ্রাস, নাকাল-যানজট, ভবনধস কিংবা অগ্নিকাণ্ড, করাল-দ্রব্যমূল্য শেষে আপনার তো ইচ্ছে করবেই একটুখানি চোখ বুজতে, এক টুকরো স্বপ্ন দেখতে। স্বপ্ন দেখতে দেখতে আপনি হয়তো চায়ে চুবিয়ে টোস্ট খাবেন, টিভি খুলে বিনোদন খুঁজবেন কচুর লতির রেসিপিতে। হঠাৎ স্ক্রলে দেখতে পাবেন ব্রেকিং নিউজ পা ফসকে নালায় পড়ে বিশ্ববিদ্যালয়ছাত্রীর মৃত্যু। ব্যস, আপনি চ্যানেল পাল্টে চলে যাবেন ঘটনাস্থলে। লাইভে। এখানেই দ্ব›দ্ব শুরু হয়ে যাবে মন আর মস্তিষ্কের। আপনি বিপন্ন বোধ করতে থাকবেন। মন আর মস্তিষ্কের, আবেগ আর বুদ্ধির মিশেল না ঘটাতে পারলে আপনার জীবনটা তপ্ত দিনের মতোই থেকে যাবে, চায়ে ডোবানো টোস্ট-সন্ধ্যার নাগাল আর পাবেন না কখনো। শফিক হাসানের বিশেষত্ব হচ্ছে, তাঁর লেখাগুলোতে শুধু আর রম্য থাকে না, মিশে থাকে বিদ্রুপ ও আবেগ আর বুদ্ধির মিশেলে তিনি সিদ্ধহস্ত। আবেগ চলে গড়িয়ে, বুদ্ধি লাফিয়ে। এই দুই গতির গড় না করতে পারলে বিপদ। কিন্তু করা কঠিন। সবাই পারেন না। শফিক হাসান পারেন। হিউমার যদি গোলাপ হয়, উইট তবে কাঁটাসুদ্ধ গোলাপ। কাঁটাকে অস্বীকার করে অলীক জগতে বাস করার উপায় কি আছে? নেই। তাই আপনার জন্য এই বই। এখানে আপনার জন্য আছে খরতাপের পরশ, আছে দিনশেষের টেস্টি টি-র রেসিপি, সঙ্গে এক টুকরো টোস্টও।
জন্ম : ০২ জানুয়ারি, ১৯৮৩-তিতাহাজরা, বেগমগঞ্জ, নোয়াখালী। বেড়ে ওঠা পাহাড়তলী, চট্টগ্রামে। লেখাজোখার প্রতি আগ্রহ ছোটবেলা থেকেই। প্রথম লেখা ছাপা হয় মাসিক রহস্যপত্রিকায়। ২০০০ সালের মাঝামাঝি লেখালেখিতে সচেতনভাবে মনোযোগী হন। তার লেখা প্রকাশিত হতে থাকে দৈনিক, সাপ্তাহিক, পাক্ষিক ও মাসিকসহ অজস্র পত্রপত্রিকায়। সমানতালে লিখেছেন লিটল ম্যাগাজিনেও। পাশাপাশি দীর্ঘদিন যাবত সম্পাদনা করছেন পাঠকপ্রিয় লিটল ম্যাগাজিন ‘প্রকাশ’। গল্প লিখতে এবং গল্পকার পরিচয় দিতেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। সিরিয়াস লেখার পাশাপাশি রম্য ধাঁচের রচনায়ও মুন্সিয়ানা দেখিয়েছেন। দৈনিক প্রথম আলোর তুমুল জনপ্রিয় ফান ম্যাগাজিন আলপিন-এর মাধ্যমে রম্য লেখার সূচনা। এরপর থেকে লিখেছেন দৈনিক পত্রিকার ক্রোড়পত্র হিসেবে প্রকাশিত বিভিন্ন রম্য-বিদ্রুপ সাময়িকীতে। পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন পাণ্ডুলিপি সম্পাদনা, লেখালেখি এবং সাংবাদিকতাকে। বর্তমানে একটি জাতীয় দৈনিকে সাব এডিটর পদে কর্মরত।