এ চিঠি তোমাকে পাঠানোর সাহস করছি না; বরং কোথাও লুকিয়ে রাখার কথা ভাবছি। তারপর অঙ্গীকার নবায়ন করার উদ্দেশ্যে মাঝেমধ্যে বের করে পড়ে নেব। এটা একজন বহুল পরিচিত শাহজাদির নাম। এখনই ছাদের ওপর দাঁড়িয়ে আকাশের ঝিকমিক করা তারকারাজিকে দেখছিলাম। তোমাকে ডাকার জন্য ‘আমার সূর্য আমার চাঁদ’ শব্দগুলোই আমার ভালো লাগল। দেখো, এটা ব্যক্তিগত ভালো লাগার ব্যাপার। রুচির সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক নেই। এখন যদি আমি ভাবতে থাকি তাহলে ফাহমিদা ছাড়া আর কোনো নামই আমার ভালো লাগবে না। কখনো এ কথাও ভাবি, আগামীতে যে জিনিসই আমার ভালো লাগবে তা তোমার নামের অংশ হয়ে যেতে থাকবে। তুমি কাল আসছ এই আনন্দে আজ সারা রাত আমার ঘুম আসবে না। আল্লাহ করুন, আব্বাজি ভোরেই সফর করার কথা ভাবেন এবং তোমরা অকস্মাৎ এখানে এসে পড়ো। আজকাল যখন আমার কোনো কাজ থাকে না আমি চলে যাই আমার মায়ের কবরের পাশে। সেখানে দাঁড়িয়ে দোয়া করার সঙ্গে সঙ্গে আমি এ ওয়াদাও করি যে আমার মায়ের সবচেয়ে বড় আকাক্সক্ষা আমি পূর্ণ করব। এটা আমার জীবনের একটা পবিত্র দায়িত্ব। আমি নাসরিন, তোমার এবং আম্মা-আব্বা ও নানিজানের আকাক্সক্ষাও পূর্ণ করব ইনশাআল্লাহ। জানতে পড়ুন শাহজাদি...
Nosim Hijajee শরীফ হুসাইন (ছদ্মনাম নসিম হিজাজী হিসাবে বেশি পরিচিতি, জন্ম:১৯১৪ - মৃত্যু: ২ মার্চ ১৯৯৬) হলেন একজন পাকিস্তানি উপন্যাসিক ও লেখক, যিনি লেখালেখির সময় নসিম হিজাজি ছদ্মনাম ব্যবহার করেন। বাল্য ও কৈশোর কাল গ্রামে কাটলেও তার সোনালী যৌবনটুকু দখল করে আছে ঐতিহাসিক লাহোর শহর। এখানেই তিনি লেখাপড়া করেন এবং লাহোর ইসলামীয়া কলেজ থেকে কৃতিত্বের সাথে ডিগ্রী পরিক্ষায় উত্তীর্ণ হন। তিনি একজন উর্দু ভাষার লেখক। হিজাজী পাঞ্জাবের গুরুদাসপুর জেলার ধারওয়াল শহরের পাশের একটি গ্রাম সুজানপুরে জন্মগ্রহণ করেন। পাকিস্তান স্বাধীন হওয়ার পূর্বেই ১৯৪৭ সালে তার পরিবার লাহোরে বসবাস শুরু করে। তিনি তার জীবনের অধিকাংশ সময় পাকিস্তানে কাটিয়েছেন এবং ১৯৯৬ সালের ২ মার্চ তারিখে ইন্তেকাল করেন।