নোবেল-ভাষণ সিরিজের শুরু হয় ২০০৮ সালে ‘বাক্ থেকে পামুক্’ সংকলন প্রকাশের মধ্য দিয়ে। বর্তমান গ্রন্থ এ সিরিজেরই পঞ্চম প্রয়াস। এ সংকলনে সাত সাহিত্যরথীকে আসন দেয়া হলো। নোবেল ভাষণ : সিমাস্ হিনি থেকে লুইস গ্লুক (তিন মহাদেশের সাত সাহিত্যরথী) গ্রন্থে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন ইউরোপ, আমেরিকা ও এশিয়া এই তিন মহাদেশের সাতজন সাহিত্যিক। সিমাস্ হিনি (আয়ারল্যান্ড ১৯৯৫), মো ইয়ান (চায়না, ২০১২), সুয়েতলানা এলেক্সিয়েভিচ (রাশিয়া, ২০১৫), বব ডিলান (আমেরিকা, ২০১৬), কাজুও ইশিগুরো (জাপান, ২০১৭), ওল্গা তোকারচুক্ (পোল্যান্ড, ২০১৮), লুইস গ্লুক (আমেরিকা, ২০২০)। নোবেল পুরস্কারপ্রাপ্তির মধ্য দিয়ে এঁরা প্রত্যেকেই বিশ্বসাহিত্যে স্বদেশের শিল্প-গরিমাকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন, জগতের সারস্বত-সভার স্বীকৃতি অর্জন করেছেন। নোবেল পুরস্কার গ্রহণ উপলক্ষে প্রদত্ত তাঁদের ভাষণ তাঁদের সৃজনসত্তা, শিল্পদৃষ্টি ও বিশ্ববীক্ষার এক সারাৎসার। সে কারণেই সাহিত্যরসিকদের নিকট সে-সবের মূল্য অপরিসীম। গ্রন্থভূক্ত সাতটি নোবেল-ভাষণ তর্জমা করেছেন পাঁচ অনুবাদব্রতী : দুলাল আল মনসুর, সায়ীদ আবুবকর, মনসুর আলম, সুনীল সূত্রধর, রফিক হারিরি ও সুরাইয়া ফারজানা হাসান।
হায়াৎ মামুদের জন্ম ব্রিটিশ ভারতে, পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলার মৌড়া নামে আখ্যাত এক গ্রামে, ১৩৪৬ বঙ্গাব্দের ১৭ আষাঢ় (২রা জুলাই ১৯৩৯) তারিখে । ১৯৫০ সালের সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার অভিঘাতে মানসিকভাবে বিপর্যন্ত পিতার হাত ধরে চলে আসতে হয় ঢাকা শহরে । অদ্যাবধি সেখানেই বসবাস । স্কুল-কলেজ -বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা সমাপ্ত করেছেন এ শহরেই। পিএইচ. ডি. ডিগ্রি তুলনামূলক সাহিত্যে, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে, প্ৰায় প্রৌঢ় বয়সে। রুশ ভাষা অল্পবিস্তর জানেন, অনুবাদের চাকরি করেছেন প্ৰগতি প্ৰকাশনে, মস্কোয়-সুদূর ও স্বপ্রিল সোভিয়েত ইউনিয়নে বসে । দেশের অভ্যন্তরে চাকরি সর্বদাই শিক্ষকতার-প্ৰথমে কলেজে পরে বিশ্ববিদ্যালয়ে । বর্তমানে অবসর-জীবন যাপন করছেন। বাংলা একাডেমী পুরস্কার পেয়েছেন শিশুসাহিত্যে । দেশ-বিদেশের সারস্বত সমাজের সঙ্গে যোগাযোগ আছে । সমালোচনা, ছাত্রপাঠ্য বই ইত্যাদি মিলিয়ে তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থসংখ্যা ষাটেরও বেশি।