ঊষর মরুর বুকে বেড়ে উঠা একজন ব্যক্তির পক্ষে কি গোটা বিশ্ব খোলনলচে বদলে দেওয়া সম্ভব? তাও আবার মাত্র তেইশ বছরের সংক্ষিপ্ত মিশনে? হ্যাঁ, অসামান্য যোগ্যতা আর ধীশক্তির গুণে এই অসাধ্যকেই সাধন ... See more
TK. 210 TK. 189 You Save TK. 21 (10%)
Get eBook Version
US $1.99
* স্টক আউট হওয়ার আগেই অর্ডার করুন
কমিয়ে দেখুন
আর মাত্র ৩দিন বাকি, বইয়ে ৭০% ও পণ্যে ৭৮% পর্যন্ত ছাড়!
আরো দেখুন
আর মাত্র ৩দিন বাকি, বইয়ে ৭০% ও পণ্যে ৭৮% পর্যন্ত ছাড়!
নিশ্চিত ৫০% ছাড়ে পাচ্ছেন সমকালীন প্রকাশন-এর সকল বই!
ঊষর মরুর বুকে বেড়ে উঠা একজন ব্যক্তির পক্ষে কি গোটা বিশ্ব খোলনলচে বদলে দেওয়া সম্ভব? তাও আবার মাত্র তেইশ বছরের সংক্ষিপ্ত মিশনে? হ্যাঁ, অসামান্য যোগ্যতা আর ধীশক্তির গুণে এই অসাধ্যকেই সাধন করেছিলেন বিশ্বমানবতার নবি মুহাম্মাদ ﷺ। একাধারে তিনি ছিলেন আল্লাহর রাসূল, তুখোড় রাজনীতিবিদ, বীর যোদ্ধা, অন্তরঙ্গ বন্ধু এবং অনুপম ব্যক্তিত্বের অধিকারী। একজন মানুষের পক্ষে সকল দিক থেকে যতটা জিনিয়াস হওয়া সম্ভব, তার সবটুকুই নিজ চরিত্রে প্রতিফলিত করেছিলেন রাসূল ﷺ। জীবনের প্রত্যেক পরতে কীভাবে তিনি অনন্য প্রতিভার স্বাক্ষর রেখে গেলেন, তারই সুখপাঠ্য পর্যালোচনা হাজির করা হয়েছে এই বইটিতে। পাশাপাশি মুমিনের জন্য পেশ করা হয়েছে ওহির বিধান এবং নবিজির আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে আলোকিত জীবন গড়ে তোলার পথনির্দেশিকা।
নুয়াইমান বিন আমর (রা.) নামে নবিজির এক আনসারি সাহাবি ছিলেন। তিনি তার হাস্যরসের জন্য খুব পরিচিত ছিলেন; এমনকী সামনে থাকা কাউকেই তিনি রসাত্মক গল্প শোনানো ছাড়া যেতে দিতেন না। নবিজি যতবার তাকে দেখতেন, ততবারই হেসে উঠতেন। অনেক সময় তিনি নবিজির সাথেও হাস্যরস করেছেন। কারণ তিনি জানতেন, নবিজি হাস্যরস পছন্দ করেন। একবার এক বেদুঈন নবিজির কাছে এলেন। সে তার সাথে থাকা উটটি মসজিদের বাহিরে বেঁধে ভেতরে প্রবেশ করল। এমন সময় নবিজির কিছু সাহাবি নুয়াইমানের (রা.) কাছে এসে বললেন, তুমি কি এই উটটা আমাদের খাওয়াতে পারো। আর নবিজি এর মালিককে তার দাম দিয়ে দেবেন। নুয়াইমান (রা.) সত্যি সত্যিই উটটিকে জবেহ করলেন। বেদুইন মসজিদ থেকে বের হয়ে তার উটটিকে নিথর অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখল। তখন লোকটি চিৎকার করে বলল, হে মুহাম্মাদ! আমার উটকে হত্যা করা হয়েছে। নবিজি তখন মসজিদ থেকে বের হয়ে জিজ্ঞেস করলেন, কে এমনটি করল? উপস্থিত সকলে নুয়াইমানের (রা.) নাম বললেন। নবিজি তাকে খুঁজতে লাগলেন। এক পর্যায়ে নবিজি তাকে দুবাহ বিনতে আল যুবায়েরের বাসায় একটি গর্তের মধ্যে তাকে লুকানো অবস্থায় তাকে দেখতে পেলেন। তিনি একটি গর্তের মধ্যে লুকিয়ে মাথার ওপরে খেজুর গাছের পাতা দিয়ে ঢেকে রেখেছিলেন। এক সাহাবি নুয়াইমানের (রা.) দিকে ইশারা করে বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমি নুয়াইমানকে (রা.) দেখিনি; অথচ তিনি তার দিকেই ইশারা করে দেখাচ্ছিলেন। নবিজি তাকে গর্ত থেকে টেনে বের করলেন। দেখলেন, নুয়াইমানের (রা.) পুরো চেহারা ধূলিমলিন হয়ে গেছে। তিনি তাকে জিজ্ঞেস করলেন, তুমি এমনটা করলে কেন? নুয়াইমান (রা.) বললেন, যারা আপনার কাছে আমার নাম বলেছে, তাদের জন্যই করেছি। নবিজি অতঃপর নিজ হাত দিয়ে তার চেহারা ঝেড়ে দিলেন এবং হাসতে হাসতে তাকে বের করে নিয়ে এলেন। অবশেষে নবিজিই সেই উটের দাম দিয়ে দিলেন। “বি জিনিয়াস উইথ মুহাম্মাদ (সা.)” বই থেকে...
Read More
Was this review helpful to you?
By Marzia Tabassum,
02 Nov 2022
Verified Purchase
বি জিনিয়াস উইথ মুহাম্মাদ (সা.) বই থেকে.... এক বদরের যুদ্ধ থেকে নবিজি যে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছিলেন, বহু যুদ্ধে নেতৃত্ব দেওয়া সুদক্ষ সেনাপতিদের পক্ষেও তা অর্জন করা ছিল দুঃসাধ্য। কারণ, এই যুদ্ধে নবিজি যতগুলো সমরকৌশল প্রয়োগ করেছিলেন, পৃথিবীর ইতিহাসে কোনো সমালোচক আজ পর্যন্ত তাঁর একটি কৌশলও ব্যর্থ অথবা নিষ্ফল প্রমাণ করতে পারেনি। এক্ষেত্রে আমরা নেপোলিয়ন বোনাপার্টের মূল্যায়ন তুলে ধরতে পারি। তিনি ছিলেন ইতিহাস বিখ্যাত একজন সেনাপতি। প্রথমত, নেপোলিয়ন তার যুদ্ধে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতেন শত্রুপক্ষের সামরিক শক্তি ভেঙে দেওয়ার ওপর। তিনি অন্যান্যদের মতো শত্রু দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ধ্বংস করায় আগ্রহী ছিলেন না; বরং যুদ্ধক্ষেত্রে তার লক্ষ্য থাকত শত্রুপক্ষের রক্ষণাত্মক দলের ওপর অতর্কিত আক্রমণ। এতে অন্যান্য রণকৌশলের তুলনায় অপেক্ষাকৃত অল্প সময়ের ব্যবধানে যুদ্ধে জয় লাভ করা সম্ভব হতো। এর মধ্য দিয়ে নেপোলিয়নের ত্রিমুখী সমরকৌশল প্রমাণিত হতো : ১. আক্রমণের জন্য সর্বাপেক্ষা উপযুক্ত জায়গা বেছে নেওয়া, ২. সঠিক সময়ে সঠিক সুযোগটি গ্রহণ এবং ৩. পরিপূর্ণ প্রস্তুতি নেওয়ার পূর্বেই শত্রুপক্ষকে হতভম্ব করে দেওয়া। এটি তিনটি কৌশল নেপোলিয়নের বহু পূর্বেই নবিজি তাঁর যুদ্ধসমূহে প্রয়োগ করেছিলেন।
Read More
Was this review helpful to you?
By Mostafizar,
02 Nov 2022
Verified Purchase
রাসূলের পরশে জিনিয়াসের পাঠ নিতে সেরা বই ‘বি জিনিয়াস উইথ মুহাম্মাদ ﷺ’ ঊষর মরুর বুকে বেড়ে উঠা একজন ব্যক্তির পক্ষে কি গোটা বিশ্ব খোলনলচে বদলে দেওয়া সম্ভব? তাও আবার মাত্র তেইশ বছরের সংক্ষিপ্ত মিশনে? হ্যাঁ, অসামান্য যোগ্যতা আর ধীশক্তির গুণে এই অসাধ্যকেই সাধন করেছিলেন বিশ্বমানবতার নবি মুহাম্মাদ ﷺ। একাধারে তিনি ছিলেন আল্লাহর রাসূল, তুখোড় রাজনীতিবিদ, বীর যোদ্ধা, অন্তরঙ্গ বন্ধু এবং অনুপম ব্যক্তিত্বের অধিকারী। একজন মানুষের পক্ষে সকল দিক থেকে যতটা জিনিয়াস হওয়া সম্ভব, তার সবটুকুই নিজ চরিত্রে প্রতিফলিত করেছিলেন রাসূল ﷺ। জীবনের প্রত্যেক পরতে কীভাবে তিনি অনন্য প্রতিভার স্বাক্ষর রেখে গেলেন, তারই সুখপাঠ্য পর্যালোচনা হাজির করা হয়েছে এই বইটিতে। পাশাপাশি মুমিনের জন্য পেশ করা হয়েছে ওহির বিধান এবং নবিজির আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে আলোকিত জীবন গড়ে তোলার পথনির্দেশিকা।
Read More
Was this review helpful to you?
By asar alo,
02 Nov 2022
Verified Purchase
এরকম চমৎকার একটা বইয়ের রিভিউ লিখার মতো সক্ষমতা এখনো অর্জন করতে পারিনি। এককথায় বলতে হয় অসাধারণ একটা বই। নতুন অনেককিছু জেনেছি এই বই থেকে। মুহাম্মাদ (সা) এর জীবন সম্পর্কে পড়তে পড়তে এবং জানতে জানতে আল্লাহর দেওয়া হায়াত ফুরিয়ে যাবে কিন্তু মুহাম্মাদ (সা) এর ঘটনাবহুল, রোমাঞ্চকর জীবনী জানা এবং তা থেকে শিক্ষা নেওয়া শেষ হবেনা। নির্দ্বিধায় এটা বলতে পারি যে, মুহাম্মাদ (সা) এর জীবন থেকে যখন যে শিক্ষাটা জানতে পারা যায় তখনই আমাদের নিজেদের জীবনে সেটার প্রতিফলন ঘটাতে হবে।
Read More
Was this review helpful to you?
By Ayesha Khanam Tinu ,
22 Oct 2022
Verified Purchase
"বর্তমান সময়ে সুষ্ঠুভাবে রাষ্ট্রপরিচালনা করার জন্য আমরা উন্নত দেশের অনেক সংবিধানের দৃষ্টান্ত দিয়ে থাকি। কিন্তু রাষ্ট্রপরিচালনা ও নেতৃত্বের ব্যাপারে নবিজি যা বলে গিয়েছেন, তার চেয়ে উত্তম আর কোন সংবিধান আজ পর্যন্ত পৃথিবীর ইতিহাসে কেউ রচনা করতে পারেনি। তিনি বলেছিলেন, 'তোমরা নেতার আনুগত্য করো; তবে যদি সে কোন পাপাচারের নির্দেশ দিয়ে থাকে, তাহলে ভিন্ন কথা।' নেতৃত্ব সর্ম্পকে তিনি আরো বলেন, 'একজন অন্যায় শাসক দেশদ্রোহীর চেয়ে উত্তম তবে উভয়ই পাপাচারে লিপ্ত।' "