.....বই সম্পর্কে কিছু কথা..... হযরত আমর ইবনুল আস রা. তার পিতা আস ও মাতা নাবিলা তার বংশের উর্ধ পুরুষ কা'ব ইবনে লুই এর মাধ্যমে রাসুল সাঃ এর নসবের সাথে মিলিত হয়েছে , জাহেলী যুগে আমর ইবনুল আস রা. এর খান্দান বনু সাহম সম্ভ্রান্ত খান্দান হিসেবেই প্রশিদ্ধ ছিলো । কুরাইসদের ঝগড়া বিবাদের সালিশ মিমাংসার দ্বায়িত্ব এই খান্দানের উপর অর্পিত হতো। তার জন্ম সম্ভ্রান্ত পরিবারের হওয়ায় তার শৈশব কাটে খুব আনন্দের সাথে এবং তার শৈশব কালেই যু*দ্ধ বিদ্যার প্রতি আগ্রহ দেখে তার পিতা আস তাকে ঘোড় সাওয়ার ও ত*র*বারি চালানো সহ যু*দ্ধে*র নানান কৌশল শিক্ষা দেন । এবং তিনি তা খুব সহযে আয়ত্ব করতে সক্ষম হন , তার বংশ বনু সাহম ছিল বিচারালয় এর প্রধান তাই তিনি কুটনৈতিক শিক্ষা লাভ করেন শৈশব কালেই । যার কারনে পরবর্তিতে রাজনৈতিক ও কুটনৈতিক ময়দানে তার অবদান অনুশিকার্য । বর্নিত আছে হযরত আলী রা. ও হযরত মুয়াবিয়া রা. এর সময় চলা মুসলিমদের নাজুক পরিস্থিতিতে হযরত মুয়াবিয়া রা. এর পাসে থেকে কুটনৈতিক ভাবে তা সমাধানের চেষ্টা করেছেন । তিনি হযরত মুয়াবিয়া রা. এর কুটনৈতিক মহলের প্রধান ও হযরত মুয়াবিয়া রা. এর প্রধান পরামর্শ দাতার দ্বায়িত্ব পালন করেন । ইসলাম গ্রহনের পূর্ব পর্যন্ত তিনি ছিলেন ইসলাম ও মুসলিম উম্মাহের কট্টর দুশমন । কুরাইশ নেতৃবৃদ্দের সাথে একত্রিত হয়ে ইসলাম ও মুসলমানদের ধংসের লক্ষে তার ছিলো দারুন উৎসাহ । বর্নিত আছে রাসূল সাঃ এর চরম শত্রু কুরাইশদের তিন প্রধান পুরুষের একজন ছিলেন হযরত আমর ইবনুল আস রাযিঃ । যাদের বিরুদ্ধে শেকায়েত করে রাসূল সা : আল্লাহ তা'আলার কাছে দো'আ করতেন এবং আল্লাহ তার জবাবে একটি আয়াত নাজিল করেন । কোনো ব্যপারে সিদ্ধান্ত গ্রহনের কোন অধিকার আপনার নেই , আল্লাহ তাদের প্রতি সদয় হয়ে তাদের ক্ষমা করে দিতে পারে অথবা শাস্তি ও দিতে পারেন । কারন তারা জালিম ও অত্যাচারি। রাসূল সা : বুঝতে পারলেন তাদের উপর বদ দোয়া করতে নিষেধ করা হচ্ছে । তিনি বিষয়টি আল্লাহ তা'আলার উপর ছেড়েদেন । সেই তিনজনের একজন হলেন , পরবর্তি কালে ইসলামের মহান সে*না*নায়ক আরবের ধূর্ত কুটনৈতিক মিশর বাসির মুক্তিদাতা হযরত আমর ইবনুল আস রা.। হযরত রাসূলে কারীম সা : আমর ইবনুল আস রা. তার কাজের জন্য ভালোবাসতেন । হযরত হাসান রা. বলেন এক ব্যক্তি আমর ইবনুল আস রা. কে জিজ্ঞেস করেন , এমন ব্যক্তি কি সৎ সভাব বিশিষ্ট নয় ? যাকে রাসূল সা : শেষ নিশ্বাস পর্যন্ত ভালোবাসতেন । তিনি বলেন তার সৌভাগ্য সম্পর্কে কে সন্দেহ করতে পারে ? লোকটি বল্লেন শেষ নিশ্বাস পর্যন্ত রাসূল সা : আপনাকে ভালোবাসতেন । জ্ঞান , বুদ্ধিমত্বা ও রাজনৈতিক প্রজ্ঞার দিক দিয়ে তিনি ছিলেন তৎকালিন আরবের কতিপয় ব্যক্তির অন্যতম , ইসলামি আরবে কুটনৈতিক চারজন , তার মধ্যে হযরত আমর ইবনুল আস রা. অন্যতম । তার দৈহিক গঠন চাল - চলন , কথা - বার্তা প্রভিতির মাঝে একথা স্পষ্ট হয়ে উঠতো যে তিনি নেত্রিত্বের জন্যই জন্ম লাভ করেছেন । রাসূল সা : তার সুস্থ মতামতের শিকৃতি দিয়েছেন , রাসূল সা : বলেছেন হে আমর তুমি ইসলামের সঠিক মতামতের অধিকারি । হযরত ফারুকে আজম মোটাবুদ্ধির লোক দেখতেন , তিনি বিস্ময় এর সাথে বলতেন এই ব্যক্তি ও আমর ইবনুল আস এর স্রষ্টা একি সত্বা , হযরত আমর ইবনুল আস সীমাহিন বুদ্ধিমত্তা ও দুস্যাহসি । হযরত রাসূলে পাক সা : বহু গুরুত্বপূর্ন অ*ভি*যানের দ্বায়িত্ব তার উপর অর্পন করেছেন । কোন কোন ক্ষেত্রে আবু বকর ওমর ও আবু উবায়দা রা. এর মত উচু মর্যাদার অধিকারি সাহাবিদের উপর তাকে আমির নিয়োগ করেছেন । প্রকৃত অর্থেই তিনি মুসলিম উম্মাহর প্রতিটি দুর্যোগময় মুহুর্তে আমির বা নেতার মত যোগ্যতা ও ফিলিস্তিন , জর্ডান তার পর মিশরের আমির নিযুক্ত করেছিলেন এবং তিনি তার খোলাফতের শেষ দিন পর্যন্ত এপদে বহাল ছিলেন ।ইতিহাসে তাকে ফাতেহ মিশর বা মিশর বিজয়ের মহানায়ক বলাহয় কিন্তু যে অর্থে তাকে মিশর বিজয়ী বলা হয় সে অর্থে তিনি বিজয়ী নন। প্রকৃত পক্ষে তিনি মিশর বাসির মুক্তিদাতা , রোমানদের শত শত বছরের দাসত্ত্ব ও শৃঙ্ক্ষল থেকেতিনি মিশর বাসিকে মুক্তি দেন এবং সমগ্র আফ্রিকায় ইসলামি দাওয়াতের পথ সুগম করেন । হযরত আমর রা. মিশর বিজয় করে ২১ হিজরী মোতাবেক ৬৪২ খ্রি এখানে একটি মাসজিদ নির্মান করেন এবং ফুস্তান নামক স্থানে একটি ইসলামিক কেন্দ্র স্থাপন করেন । হযরত আমর রা. প্রতিষ্ঠিত মাসজিদ টি তার নামে নামকরন করা হয় । ( মাসজিদে আমর ইবনুল আস রাযিঃ ) আসুন আমরা ইতিহাস থেকে এই মহান স*ম*র*বিদ ও কুটনৈতিক সম্পর্কে আরো জানতে আব্বাস মাহমুদ আক্কাদ এর রচিত বই আমর ইবনুল আস বইটি পড়ে তার সম্পর্কে আরো জানি ।