ইন্দ্রনাথ ও চন্দ্রাবতী লোককাহিনী ভিত্তিক প্রেমের উপন্যাস। বহু শতাব্দী আগে ভারতীয় উপমহাদেশের পূর্বাঞ্চল অনেকগুলো ছোট ছোট রাজ্যে বিভক্ত ছিল। এর মধ্যে পাশাপাশি দুটি রাজ্যের নাম গিরিতট ও জলেশ্বরী। গিরিতটের রাজকুমার ইন্দ্রনাথের সাথে জলেশ্বরীর রাজকন্যা চন্দ্রাবতীর প্রেম। গিরিতটের রাজা উদয়শঙ্কর ছিলেন অসম্ভব প্রজাদরদি। তার স্ত্রী রানী মৃণালিনী ছিলেন মহিয়সী নারী। মৃণালিনী অকালে মারা যান। এ সময় রাজকুমার ইন্দ্রনাথের বয়স ১০ বছর। রানীর মৃত্যুর দুবছর পর তরুণ রাজা আবার বিয়ে করেন। তার এ স্ত্রীর নাম কঙ্কনা। অসাধারণ রূপসী কঙ্কনা প্রধান সেনাপতির কন্যা। কঙ্কনা ছিল চরিত্রহীন। বিয়ের কিছুদিন পর রাজার ছোট ভাই বিজয়শঙ্করের সাথে তার প্রণয় সম্পর্ক হয়। একদিন বিজয় ও কঙ্কনা মিলে রাজাকে বিষয় খাইয়ে মেরে ফেলে। বিজয়শঙ্কর সিংহাসন দখল করে। বিজয় রাজা হবার পর ইন্দ্রনাথ প্রাসাদ ছেড়ে মামাবাড়ি চলে যায়। সেখানেই সে বেড়ে ওঠে। বড় হবার পর ইন্দ্র, বিজয় ও কঙ্কনার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়ায়। প্রজারা সব ইন্দ্রনাথের পক্ষে। বিজয়কে তারা রাজা মানতে চায় না। অবস্থা বেগতিক দেখে বিজয় ইন্দ্রকে হত্যার পরিকল্পনা করে। ইন্দ্র পালিয়ে প্রতিবেশী রাজ্য জলেশ্বরী চলে যায়। নিজের পরিচয় গোপন রেখে সে রাজা সূর্যকান্তের ফুলের বাগানে পাহারাদারের কাজ নেয়। এখানেই ভুবুনমোহিনী রাজকন্যা চন্দ্রাবতীর সাথে তার প্রেম হয়।