একুশে পদকপ্রাপ্ত আলোকচিত্রী পাভেল রহমান। পাভেল রহমান তরুণ বয়সে ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়িতে অবাধে যাতায়াত করতেন। সে সূত্রে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুব কাছাকাছি আসতে পেরেছিলেন। পেয়েছিলেন বঙ্গবন্ধুর স্নেহ-ভালোবাসা। ১৯৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন টকবগে কিশোর পাভেল রহমান। যাঁর শখ ছবি তোলা। বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে মাত্র ১৫ বছর বয়সে পাকসেনাদের বিরুদ্ধে হাতে তুলে নিলেন গ্রেনেড। স্বাধীনতা পরবর্তী পেশা হিসেবে বেছে নেন ফটোসাংবাদিকতা। আনন্দবাজার, দেশ, স্টেটস ম্যান, লস এঙ্গেলস টাইমস, নিউ ইয়র্ক টাইমসহ দশের অধিক আন্তর্জাতিক পত্রিকার ফটোসাংবাদিক ছিলেন। তিনি বাংলাদেশের প্রথম ফটো এডিটর হিসেবে কাজ শুরু করেছিলেন দৈনিক বাংলা বাজার পত্রিকায় এরপর দৈনিক জনকণ্ঠ, দৈনিক প্রথম আলো। ইত্তেফাকসহ দেশের প্রায় ২০টি পত্রিকায় ফটোসাংবাদিক হিসেবে কাজ করেন তিনি। পাভেল রহমান ১৯৮৫ সাল থেকে এপি ফটোসাংবাদিক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এ সময় সারা বিশ্বে তাঁর ছবি ও স্টোরি প্রকাশ হতো। ছিলেন এশিয়া উইকেরও ফটোসাংবাদিক। ১৫ই আগস্টের পর এদেশে সামরিক সরকার উত্থান-পত্তন সবি তাঁর দেখা, জানা। বঙ্গবন্ধু এবং গণতন্ত্র সংগ্রামের কালজয়ী সব ছবি ধারণ করেছিলেন তাঁর ক্যামেরার লেন্সে। এসব ছবি তুলতে গিয়ে তাঁর জীবনে যেমন আনন্দের, কষ্টের স্মৃতি আছে তেমনি আছে নিশ্চিত মৃত্যুর হাত বেঁচে ফেরা আতঙ্কের স্মৃতি, মানুষের মৃত্যু দেখার স্মৃতি। তিনি পাকসেনাদের বিরুদ্ধে গ্রেনেড হাতে তুলে নিয়ে অংশ নিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধে, ঠিক তেমনি গণতন্ত্র সংগ্রামের ছবি তাঁর ক্যামেরায় ধারণ করতে গিয়ে হয়ে উঠেছেন গণতন্ত্র সংগ্রামীদের একজন। ‘আমার মুক্তিযুদ্ধ গণতন্ত্র সংগ্রাম’ মুক্তিযুদ্ধ ও গণতন্ত্র সংগ্রামের ঘটনা, স্মৃতি রোমন্থন। সাকিল মাসুদ প্রকাশক