কয়েকজন বিলিনিয়ার চীনা ব্যবসায়ী অতিগোপনে সিঙ্গাপুর বসে। সাত বিলিয়ন ডলারের ৮৯ কেজি ডায়মন্ড কেনার চুক্তি করে তা দেশে পৌঁছে দেবার জন্য ভাড়া করে ডায়মন্ড দুনিয়ার একচ্ছত্র অধিপতি ও সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ডি বিয়ার্সকে। তারা ডায়মন্ড চালানটা মালয়েশিয়ার এক যাত্রীবাহী বিমানে তুলে দেয়। এই খবর আগেই জানতে পারে মাফিয়া সম্রাট ও তার গ্যাংস্টার দল। তারা এই ‘বিগ ডীল’ চালান করায়ত্ত করতে সর্বত্র এক অভাবনীয় চক্রান্তের জাল বিছিয়ে রাখে। বিমানের ক্যাপ্টেন রবার্ট ডি মিচেলও তাদের পাতা ফাঁদে ধরা পড়ে। অন্যদিকে ভারত মহাসাগরে অবস্থানরত রাশিয়ায় তৈরি পৃথিবীর বৃহত্তম সাবমেরিন জলের নিচে ওঁৎ পেতে বসে থাকে ডায়মন্ড চালানটা হাতে পাবার জন্য। আড়াই হাজার মাইল পথ পাড়ি দিয়ে চীনের বেজিং যাবার পথে নিরীহ দুইশত উনচল্লিশ জন যাত্রী সমেত ডায়মন্ড চালানবাহী বিমানটি মধ্যাকাশে হঠাৎ রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়ে যায়। বিমানটিতে রাতের আঁধারে কী এমন ঘটনা ঘটেছিল যা তাকে নির্ধারিত পথ ছেড়ে অন্যত্র যেতে বাধ্য করে। যাত্রীদের ভাগ্যে কী ঘটেছিল তা জানতে টান টান উত্তেজনায় ভরপুর কাহিনিটি পড়তে হবে। বইটি পাঠকদের ভয়ানক রোমাঞ্চকর এক অন্যরকম অনুভূতি এনে দেবে, কিশোর-কিশোরীদের নিয়ে যাবে বিপজ্জনক লোমহর্ষক এক উত্তেজনায় ভরপুর ঘটনাপ্রবাহে। কিছু সত্য ঘটনার ছায়া অবলম্বনে লিখিত উপন্যাসটির সব কাল্পনিক চরিত্র ও রুদ্ধশ্বাসভরা ঘটনাপ্রবাহ কাহিনিকে এক অন্যমাত্রায় এগিয়ে নিয়ে গেছে।