অনেকে মনে করেন- ১৯৫২ সালে রাষ্ট্রভাষা শুরু হয়েছিল। বাস্তবে সেটা নয়। ১৯৪৭ সালের ১৪ আগস্ট পাকিস্তান স্বাধীনের অব্যবহিত পরই রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন শুরু হয়ে যায়। সেটা চলে ১৯৫৬ সালের ২৩ জুন পাকিস্তানের সংবিধানে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার পর্যন্ত। ভাষা আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে বাঙালি জাতি স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখতে শুরু করে। রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে আন্দোলনটা ছাত্ররা শুরু করলেও পরে সেটা ছাত্র-জনতা তথা বাংলার মানুষের প্রাণের দাবিতে পরিণত হয় অনেকে মনে করেন, ভাষা আন্দোলনে পুরুষের অংশগ্রহণই মূখ্য ছিল। ছাত্রী বা নারীর ভূমিকা ছিল গৌণ। যারা বিষয়টি পুরোপুরি জানেন না এটা তাদের ভুল ভাবনা। সত্যিটা এই যে, ভাষা আন্দোলনে ছাত্রদের পাশাপাশি ছাত্রীরা তথা পুরুষের পাশে থেকে মেয়েরা সমান ভূমিকা পালন এবং অবদান রেখেছিল। ২১শে ফেব্রুয়ারি প্রথম পুলিশের ব্যারিকেট ভেড় মিছিল নিয়ে রাস্তায় নেমে পড়েন তিনি একজন নারী। ভাষা আন্দোলনে ঠিক কতজন নারী অংশ নিয়েছিলেন তার কোন সঠিক তথ্য-উপাত্ত নেই। কতজন পুরুষ অংশগ্রহণ করেছিলেন তারও কোন তথ্য নেই। তবে, একটা ভালো খবর এটাই যে, ভাষা আন্দোলনে কোন নারীকে জীবন দিতে হয়নি। যদিও মৃত্যুর হাত থেকে বেঁচে গেছেন অনেকে। তবে, অনেকের নামে হুলিয়া জারি হয়েছিল, অনেকে জেলও খেটেছেন। বইটি লেখার জন্যে লেখককে কতোটা পরিশ্রম করতে হয়েছে সেটা পাতা উল্টালেই বোঝা যায়। নিঃসন্দেহে বইটি পাঠকের ভালো লাগবে এবং ভাষা আন্দোলনে নারীর ভূমিকা ও অবদান সম্পর্কে জানার কৌতূহলকে মেটাবে। বলে আমার বিশ্বাস। সেটা হলেই লেখক-প্রকাশকের শ্রম সার্থক হবে