ফ্ল্যাপে লিখা কথা বাংলাদেশেল সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধ সংঘটিত হয় ১৯৭১ সালে এই সশস্ত্র মুক্তিসংগ্রামে ছিল বিভিন্ন ঘটনা , বিরূপ পরিস্থিতি ও গুরুত্বে বিষয়ের কারণে পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের মধ্যে সম্পর্কের ক্রমাগম অবনতির চূড়ান্ত বহিঃপ্রকাশ। ১৯৪৭ সালে বিট্রিশের নিকট থেকে স্বাধীনতা লাভের পর থেকেই পাকিস্থানের দুই প্রদেশের মধ্যে যেসব ইস্যুতে সম্পর্কের অবনতি ঘটে, সেগুলোর মধ্যে ছিল ভূমি সংস্কার, রাষ্ট্রভাষা , অর্থনীতি ও প্রসাশনের দুই প্রদেশের মধ্যে বৈষম্য,প্রাদেশিক শায়ত্ব শাসন, পূর্ব পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা এবং এতদসংক্রান্ত অন্যান্য বিষয়। ১৯৭০-এর সাধারণ নির্বাচনে জাতীয় পরিষদে আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুর সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করলে শেখ মুজিবুর রহমান সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতা হিসেবে আবির্ভূত হন। কিন্তু পাকিস্থানের সামরিক ও বেসামরিক নেতৃত্ব আওয়ামী লীগ ও তার নেতা শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরে অস্বীকার করে। বঙ্গবন্ধু এ প্রতিবাদে অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেন। তিনি ১৯৭১ সালের ৭মার্চ রেসকোর্স ময়দানে বিশাল জনসমুদ্রে ঘোষণা করেন, ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম , এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’ তাঁর এই ঘোষণা সাধারণ মানুষকে স্বাধীনতাযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে অনুপ্রাণিত করে। এরপর তিনি ১৯৭১ সালের ২৬শে মার্চ স্বাধীনতার ডাক দিলে বাংলার মুক্তিকামী মানুষ স্বত:স্ফুর্তভাবে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়। দীর্ঘ নয় মান রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মধ্য দিয়ে ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ স্বাধীন হয়। এদিন মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্ত বিজয় সূচিত হয়। অভ্যুদয় হয় স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের । মুক্তিযুদ্ধ বাংলাদেশের জনগনের জাতীয় জীবনে সবচেয়ে গৌরবোজ্জল অধ্যায়। সূচিপত্র * পাকিস্তানের স্বাধীনতা লাভ, বাঙালির ভাষার জন্য সংগ্রাম * সামরিক ও স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক আন্দোলন *বাঙালির মুক্তিসনদ ৬-দফা * আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা *ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান * সত্তরের নির্বাচন এবং আওয়ামী লীগের জয়লাভ * ক্ষমতা হস্তান্তর আলোচনা ব্যর্থ * একাত্তরের অসহযোগ আন্দোলন * বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চ ঐতিহাসিক ভাষণ * পূর্ব পাকিস্তান চলছে বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে *ইতিহাসের নৃশংসতম হত্যাকাণ্ড * বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণা ও গ্রেফতার * মুজিব নগর সরকার ও স্বাধীনতা ঘোষণাপত্র * একাত্তরের সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধ * মুক্তিযুদ্ধে সরকার ,বিশ্বনেতৃবৃন্দ এবং প্রচার মাধ্যমের ভূমিকা * সামরিক আদালতে বঙ্গবন্ধুর বিচার এবং বিশ্ববাসীর ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া * চূড়ান্ত যুদ্ধ এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা লাভ * খেতাবপ্রাপ্ত একাত্তরের বীর মুক্তিযোদ্ধা
রফিকুজ্জামান হুমায়ুন ১৯৬৭ সালের ১৯ নভেম্বর মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর উপজেলার যাত্রাপুর গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত সৈয়দ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা বীর মুক্তিযােদ্ধা মােঃ নূরুজ্জামান মিয়া (ঝিলু মিয়া) ছিলেন একজন সাদা মনের মানুষ। মাতা সিরিয়া জামান। দাদা এয়াকুব হােসেন (নান্নু মিয়া) নামকরা জমিদার ছিলেন। রফিকুজ্জামান হুমায়ুন যাত্রাপুর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি অত্যন্ত ভদ্র, স্পষ্টবাদী এবং শান্তিপ্রিয় মানুষ। প্রচারবিমুখ হলেও নিয়মিত লেখালেখি চালিয়ে যাচ্ছেন। প্রবন্ধ, গবেষণা, উপন্যাস এবং শিশুতােষ বইসহ তার প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা অর্ধ শতাধিক। রফিকুজ্জামান হুমায়ুন বাংলা একাডেমীর জীবন সদস্য। মানিকগঞ্জ সমিতি ঢাকা এবং মানিকগঞ্জ সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক পরিষদ-এর আজীবন সদস্য। রফিকুজ্জামান হুমায়ুন ব্যক্তিগত জীবনে একজন সুখী মানুষ। স্ত্রী কামরুন নাহার এবং সন্তান রাফাত জামান ও রাফিয়া জামান প্রমিকে নিয়ে তার নিজস্ব জগৎ।