রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সান্নিধ্যে সাহাবায়ে কেরাম যেমন এক অতুলনীয় জীবন গড়ে তোলার সৌভাগ্য অর্জন করেছিলেন, তেমনি তাদের সান্নিধ্যে থেকেও একদল মানুষ নিজেদের জীবনকেও অভূতপূর্বভাবে কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে রাঙিয়েছিলেন―তারাই ছিলেন তাবয়েী। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম স্বয়ং সাহাবায়ে কেরামের পরে তাবেয়ীদের সর্বোত্তম মানুষ বলেছেন। মূলত তাদের জীবন যেমন বিস্ময়কর, তেমনি পরবর্তী প্রজন্মের জন্যও অনুপম দৃষ্টান্ত, এক অনুসরণীয় আলোকবর্তিকা। সঙ্গতকারণেই মুসলিম হিসেবে আমরা যদি দুনিয়া ও আখেরাতে সফলতা অর্জন করতে চাই, তাহলে কুরআন-সুন্নাহর পাশাপাশি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের যুগের পরবর্তী প্রজন্ম তাবেয়ীদের জীবনীও অধ্যয়ন করা প্রয়োজন। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে না দেখে তারা যেভাবে সুন্নাতের অনুসরণ-অনুকরণে নিজেদের পরিশুদ্ধ করেছিলেন, আমাদেরও একইভাবে ঈমান-আমলে পরিশুদ্ধতা অর্জন করতে হবে। আর এ লক্ষ্যেই সাত্রিশজন তাবেয়ীর জীবনী দিয়ে গ্রন্থটি সাজানো হয়েছে। এতে তাদের দুনিয়াবিমুখতা, চেষ্টা-সাধনা, ইবাদত-বন্দেগী এবং পারিবারিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের পরিচয় পাওয়া যাবে। আশা করা যায়, সব শ্রেণির পাঠকের জন্যই দ্বীন ও ঈমানের পথে আগে বাড়ার ক্ষেত্রে গ্রন্থটি সহায়ক হয়ে উঠবে।
এ সময়ের প্রতিভাদীপ্ত লেখক ও অনুবাদক। লেখালেখির জগতে পদার্পণ শৈশবকালেই। শিক্ষা ক্ষেত্রে জামিয়া ইসলামিয়া পটিয়ায় দাওরায়ে হাদীস সম্পন্ন করে ২০০২ সালে। জামিয়া ফারুকিয়া করাচি থেকে তিনি তাখাসসুস ফি উলুমিল ফিকহের ডিগ্রি নেন। নাজিরহাট বড় মাদরাসা থেকে সুদীর্ঘ দুই যুগেরও অধিককাল ধরে নিয়মিত প্রকাশিত মাসিক দাওয়াতুল হক পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করে আসছেন। ‘সুচিন্তা’ ও ‘শিকড়’ও তার সম্পাদিত সাময়িকী। এছাড়া নিরলসভাবে লিখে চলেছেন বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক, সাপ্তাহিক ও মাসিক পত্রিকায়। ১৯৮১ সালের ২৮ মার্চ চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে জন্ম নেয়া বরেণ্য এই আলেমের ৪০ টির অধিক বই রয়েছে বাজারে। তাঁর মৌলিক বইয়ের মধ্যে রয়েছেÑ নাফ তীরের কান্না; স্বর্ণযুগের সম্রাট; অপরাধ : উৎস ও প্রতিকার; পুত্রের প্রতি পিতার পত্র ও উপদেশ; আসহাবে কাহাফ; দেহমনের পাপ; পড়ালেখার কলাকৌশল; ইসলামের দৃষ্টিতে হালাল হারাম।