মানুষের জীবন অতি বৈচিত্র্যময়। সুখ-দুঃখ, প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তি, তৃপ্তি-অতৃপ্তি, সম্ভাবনা আশঙ্কা, উত্থান-পতন, সাফল্য-ব্যর্থতা এবং সর্বোপরি একটি অনিশ্চয়তার সোপান ধরে মানুষকে অগ্রসর হতে হয়। আর এই অনিশ্চয়তার মাঝেও মানুষ প্রতিনিয়ত একটি সুন্দর স্বপ্ন বুকে ধারণ করে বেঁচে থাকে, আর এই স্বপ্নই তার চলার পথকে রাখে গতিশীল। জীবন সায়াহ্নে এসে তৌসিফ আহমেদ নিজেকে একজন পরিপূর্ণ সফল মানুষ মনে করেন। কর্মজীবনে তিনি অত্যন্ত সৎ এবং দক্ষ কর্মকর্তা হিসেবে পরিগণিত। সোনালী শৈশব, কৈশোরের আনন্দোজ্জ্বল দিনগুলো এখনো তাঁকে হাতছানি দিয়ে ডাকে। যদিও সেই দিনগুলো কন্টকবিহীন বা মসৃণ ছিল না। বেশকিছু ঘটনাপ্রবাহ সারাজীবন তাঁকে কষ্ট দিয়েছে এবং শত চেষ্টা করেও এই বয়স অব্দি তিনি সেগুলো ভুলতে পারেননি, সময়ের আবর্তনে সেগুলোর স্থায়িত্ব যেন ততই সুসংহত হয়েছে। আশ্চর্যজনক হলেও সত্য যে, জীবনের ঘটে যাওয়া সেই অপ্রত্যাশিত ঘটনাপুঞ্জ এখন তাঁর কাছে কেমন যেন আপন হয়ে গেছে। ফেলে আসা জীবনের নানাবিধ উপলব্ধিতে মেশানো মানবিকতার বিভিন্ন দিক দর্শনের মাঝে তিনি অজান্তেই হারিয়ে যান। তাঁর যাপিত জীবনের অফুরন্ত স্মৃতিকথা এবং বিশেষ দিনগুলির ঘটনাবলি অবলম্বনে রচিত উপন্যাস “আলো আঁধারের ইতিবৃত্ত"।