আমরা সবাই জানি, ১৯৫৩ সালে ডিএনএ অণুর আণবিক গঠন আবিষ্কার করেছেন জেমস ওয়াটসন এবং ফ্রান্সিস ক্রিক। এই মহান কৃতিত্বের জন্য জেমস ওয়াটসন এবং ফ্রান্সিস ক্রিককে ১৯৬২ সালে নোবেল পুরুস্কার দেওয়া হয়। কিন্তু এই সত্যের পেছনে আরও কঠিন সত্য লুকিয়ে আছে, যা নোবেল পুরস্কার প্রাপ্তির ঠিক দশ বছর পরে ফ্রান্সিস ক্রিক জনসম্মুখে নিজেই প্রকাশ করেছিলেন। সেই প্রকৃত সত্যটি হলো ডিএনএ অণুর হেলিক্যাল আণবিক গঠন সর্বপ্রথম আবিষ্কার করেন একজন নারী বিজ্ঞানী এবং জেমস ওয়াটসনের বান্ধবী রোজালিন্ড ফ্রাঙ্কলিন..... অনেক জ্যোতির্বিজ্ঞানীর নাম আমরা জানি কিন্তু আমরা অনেকেই মাইকেল সার্ভিটাসের কথা জানি না, যিনি ক্যাথোলিক সম্প্রদায়ের রক্তচক্ষুর বিরুদ্ধে একটু বেশি সাহস দেখিয়েছিলেন। পৃথিবী গোলাকার, এই তথ্যটি প্রমাণসহ তিনি বই আকারে প্রকাশ করে বাজারে ছেড়েছিলেন। এই অপরাধে তাকে ধরে নিয়ে চ্যাপেলের মালভূমিতে তার বইয়ের বিশাল স্তুপের উপর তাকে বসিয়ে বইতে আগুন ধরিয়ে তাকে পুড়িয়ে মারা হয়..... বিজ্ঞানের এই জাদুকরদের কাহিনি এই বইতে. সংযোজিত হয়েছে।. বিজ্ঞানের সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ট জাদুকর স্যার আইজ্যাক নিউটন। মৃত্যুর তিনদিন পূর্বে সৃষ্টিকর্তা সম্পর্কে তিনি যা বলেছেন, তা সকল মানুষের জানা প্রয়োজন। সেই অবিশ্বাস্য সত্য ঘটনা আমি এই বইতে সংযোজিত করেছি...
মনজুর রহমান শান্ত ১৯৬৬ খ্র্রীস্টাব্দে রাজবাড়ী জেলার পাংশা থানার অন্তর্গত চরঝিকড়ী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। গ্রামের স্কুল থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা শেষ করে তিনি ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ও মিরপুর কলেজে অধ্যয়ন করেন। পেশাগত জীবনে শিক্ষকতার পাশাপাশি তিনি দৈনিক প্রভাত, দৈনিক জনকণ্ঠ, দৈনিক কালেরকণ্ঠ, দৈনিক আমার সংবাদ ও দৈনিক আমার বার্তা পত্রিকায় শিক্ষা বিষয়ক আর্টিকেল লিখেছেন। এছাড়াও বর্তমানে তিনি সেন্টার ফর হিউম্যান রাইটস মুভমেন্টস-এর সহকারী পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। কৈশোর থেকে নাটকের প্রতি তিনি ছিলেন অনুরক্ত। তার রচিত হাস্যরসাত্মক নাটক ব্রেসলেট এবং কবি ইতোমধ্যেই টিভি দর্শকদের মনোযোগ কেড়েছে। তার রচিত কাজি সাহেবের তিন পুত্র ডিসেম্বর-২০২১ সালে একুশে টেলিভিশনে প্রচারিত হয়েছে। তার আরো দুটি সিরিয়াল ‘দি ঢাকা এক্সপ্রেস’ এবং ‘কমেডি কমান্ডার’ নির্মাণের কাজ চলছে। তিনি একুশে পদকপ্রাপ্ত নাট্য ব্যক্তিত্ব ড. ইনামুল হক এবং লাকী ইনাম প্রতিষ্ঠিত নাগরিক নাট্যাঙ্গনের প্রকাশনা সম্পাদক। তিনি মূলত একজন ঔপন্যাসিক। তাঁর রচিত সামাজিক উপন্যাস, ডিটেক্টিভ উপন্যাস, বিজ্ঞান বিষয়ক গ্রন্থ, জীবনী গ্রন্থ এবং হাস্যরসাত্মক গ্রন্থের সংখ্যা ২৪টি। তার প্রকাশিত অনুবাদ গ্রন্থের সংখ্যা ১৭টি। এর মধ্যে বাংলাদেশের জন্মলগ্নের আকাশযুদ্ধের পূর্ণাঙ্গ ইতিহাস সম্বলিত অনুবাদ গ্রন্থ ‘ঈগলস ওভার বাংলাদেশ’ বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।