কবিরা সুন্দরী মেয়ে পেলে খুব পরিবেশবান্ধব হয়ে যায়। গাড়িতে চড়তে চায় না। কবি ও নারী, রিকশা আর খােলা হাওয়ায় সবচেয়ে বেশি সচল। অনীক নেমে নিরঞ্জনের দিকে ফিরেও তাকাল না। রুপাকে বারবার বলতে থাকল, তুমি যে এই উদ্যোগটা নিয়েছ, কী দারুণ ব্যাপার! আমি সব সময়ই মনে করি, সত্যিকারের সৃজনশীলতা ও মানবতা নারীদের মধ্যেই...' রুপা বলে, আইডিয়াটা আসলে নিরঞ্জনের। “আরে নিরঞ্জন-সুরঞ্জনরা তাে থাকবেই। আর যুগে যুগে নারীর সৃষ্টি, নারীর রূপ পুরুষরাই লুটে নিয়ে গেল। সে নিজের একটা কবিতা আবৃত্তি করে। না, ছেলেটা লিখতে পারে বটে। কী জাদুময়! কী ব্যঞ্জনা! কবিত্বের এই ক্ষমতাই বােধ হয় সভ্যতার সবচেয়ে বড় শক্তি। ওরাও বােঝে না। অপচয় করে। অনীক তাচ্ছিল্যের সঙ্গে সামনের উপস্থিতদের দেখে। জনা দশেক রিকশা ড্রাইভার-মজুর শ্রেণির মানুষ। রুপার দিকে ফেরে আবার, বুঝলে রুপা, এই যে সাম্যের ছবি। শ্রমজীবীদের জন্য তােমাদের এই যে ভালােবাসা... শ্রমজীবীদের মধ্যে একজন গলা খাকারি দিয়ে বলে, কী কইবেন কন। আপনে তাে আছেন লাইন মারার তালে... অনীক এমন হা হয়ে গেল যে ওর মুখটা কিছুক্ষণ বন্ধ থাকল। রুপাস্তুতিও সাময়িক স্থগিত।
Mustafa Mamun বিশ্ববিদ্যালয়ে বিষয় ছিল আইন। কিন্তু আইনজীবী আর হওয়া হয়নি। এমন আরো অনেক না হওয়ার ভিড় পেরিয়ে যতসামান্য যা হয়েছে তার পুরোটাই লেখালেখিকেন্দ্রিক। লেখক এবং সাংবাদিক, আপাতত এটাই নামের পাশের পরিচয় । জন্ম মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায়। তারপর সিলেট ক্যাডেট কলেজের রোমাঞ্চকর জীবন। সেখান থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। সম্মান প্রথম বর্ষ থেকেই ক্রীড়া সাংবাদিকতা নামের দারুণ আনন্দময় এক পেশায় জড়িয়ে পড়া। খেলা দেখতে আর লিখতে ভ্ৰমণ করা হয়ে গেছে ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, স্পেন, ইতালি, সুইজারল্যান্ড, নরওয়ে, দক্ষিণ আফ্রিকা, দেশ। বন্ধু-আডডা-মানুষ এসব নিয়ে মেতে থাকতে ভালো লাগে। বই পড়া, খেলা দেখাও আছে পছন্দের তালিকায়। কিন্তু সব ছাপিয়ে শেষ পর্যন্ত সবচেয়ে পছন্দের কাজ লেখা। এই নিয়ে চলছে জীবন। ভালোই তো চলছে!