প্রাচ্যবাদ ও ইসলাম গুরুত্বপূর্ণ এক আলোচ্যবিষয়। যার একদিকে রয়েছে বিশ্বাস ও জীবনালোকের স্বচ্ছতা ও পূর্ণতা। অপরদিকে রয়েছে ত্রুটিসন্ধান, সংশয় সৃষ্টি ও বিভ্রান্ত প্রচারণা। আসমানী হেদায়েতের পরিপূর্ণ রূপায়ন হিসেবে ইসলাম যে শাশ্বত সত্যের সামগ্রিকতা, তাকে অবিশ্বাসের চোখ দিয়ে দেখতে চেয়েছে প্রাচ্যবাদ। কুরআন, হাদীস, ফিকহ, সীরাত, উসুল, তাসাউফ, ইসলামের ইতিহাস ইত্যাদি বিক্ষত হয়েছে প্রাচ্যতাত্ত্বিক আক্রমণ ও অপবাদে। এসব আক্রমণ ও অপবাদ বহুমুখী, বহুমাত্রিক। যুগ যুগ ধরে বিচিত্র সুরে, অগণিত কলমে প্রাচ্যতাত্ত্বিক অভিযোগনামার স্তূপ তৈরী হয়েছে। যার প্রভাব ও প্রতাপে ইসলাম সম্পর্কে ভয়াবহ বিভ্রান্তি তৈরী হয়েছে। এর শিকার যেমন অমুসলিম পাঠক, তেমনি মুসলিম অনেকেই। নিকট অতীতের ধারাবাহিকতায় আজকের দুনিয়ায় এর বিপজ্জনক প্রতিক্রিয়া সুস্পষ্ট। ফলে এজাতীয় বিভ্রান্তির অপনোদনে কলমী প্রয়াস খুব জরুরী এবং তা জ্ঞানদক্ষ বয়ানে সম্পন্ন হওয়া উচিত। বাংলা ভাষায় যার অভাব অত্যন্ত প্রকট। এ শূন্যতা পূরণে ব্যতিক্রমী গবেষণাকেন্দ্র মা'হাদুল ফিকরি ওয়াদ দিরাসাতিল ইসলামিয়ার তরুণ গবেষকরা ইসলাম ও ইসলামী জ্ঞানকলার গুরুত্বপূর্ণ দিক সমূহ নিয়ে প্রাচ্যবাদের জবাবী বয়ান উপস্থাপনে প্রয়াসী হয়েছেন। যা এ ধারার কাজের গুরুত্বপূর্ণ সূচনা। একটি প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে সমৃদ্ধ এই স্মারক ধর্মীয় ধারার অনুরাগী পাঠকদের জন্য যেভাবে সুপেয় শরবতের কাজ দেবে, তেমনি ইসলামের প্রতি যারা অনিরাগী নন, তাদের জন্যও হয়ে উঠবে মহৌষধ! ইনশাআল্লাহ প্রাচ্যবাদ ও ইসলাম গুরুত্বপূর্ণ এক আলোচ্যবিষয়। যার একদিকে রয়েছে বিশ্বাস ও জীবনালোকের স্বচ্ছতা ও পূর্ণতা। অপরদিকে রয়েছে ত্রুটিসন্ধান, সংশয় সৃষ্টি ও বিভ্রান্ত প্রচারণা। আসমানী হেদায়েতের পরিপূর্ণ রূপায়ন হিসেবে ইসলাম যে শাশ্বত সত্যের সামগ্রিকতা, তাকে অবিশ্বাসের চোখ দিয়ে দেখতে চেয়েছে প্রাচ্যবাদ। কুরআন, হাদীস, ফিকহ, সীরাত, উসুল, তাসাউফ, ইসলামের ইতিহাস ইত্যাদি বিক্ষত হয়েছে প্রাচ্যতাত্ত্বিক আক্রমণ ও অপবাদে। এসব আক্রমণ ও অপবাদ বহুমুখী, বহুমাত্রিক। যুগ যুগ ধরে বিচিত্র সুরে, অগণিত কলমে প্রাচ্যতাত্ত্বিক অভিযোগনামার স্তূপ তৈরী হয়েছে। যার প্রভাব ও প্রতাপে ইসলাম সম্পর্কে ভয়াবহ বিভ্রান্তি তৈরী হয়েছে। এর শিকার যেমন অমুসলিম পাঠক, তেমনি মুসলিম অনেকেই। নিকট অতীতের ধারাবাহিকতায় আজকের দুনিয়ায় এর বিপজ্জনক প্রতিক্রিয়া সুস্পষ্ট। ফলে এজাতীয় বিভ্রান্তির অপনোদনে কলমী প্রয়াস খুব জরুরী এবং তা জ্ঞানদক্ষ বয়ানে সম্পন্ন হওয়া উচিত। বাংলা ভাষায় যার অভাব অত্যন্ত প্রকট। এ শূন্যতা পূরণে ব্যতিক্রমী গবেষণাকেন্দ্র মা'হাদুল ফিকরি ওয়াদ দিরাসাতিল ইসলামিয়ার তরুণ গবেষকরা ইসলাম ও ইসলামী জ্ঞানকলার গুরুত্বপূর্ণ দিক সমূহ নিয়ে প্রাচ্যবাদের জবাবী বয়ান উপস্থাপনে প্রয়াসী হয়েছেন। যা এ ধারার কাজের গুরুত্বপূর্ণ সূচনা। br একটি প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে সমৃদ্ধ এই স্মারক ধর্মীয় ধারার অনুরাগী পাঠকদের জন্য যেভাবে সুপেয় শরবতের কাজ দেবে, তেমনি ইসলামের প্রতি যারা অনুরাগী নন, তাদের জন্যও হয়ে উঠবে মহৌষধ! ইনশাআল্লাহ
কবি, গবেষক ও আলেম মুসা আল হাফিজ। ১৯৮৪ সালের ৫ অক্টোবর সিলেট জেলার বিশ্বনাথ উপজেলার রামপাশা ইউনিয়নের মাখর-গাঁও গ্রামে তাঁর জন্ম। ১৯৯৫ সালে, ১১ বছর বয়সে কুরআন মজিদের হিফজ সম্পন্ন করেন। ২০০৭ সালে কৃতীত্বের সাথে তাকমিল ফিল হাদীস (মাস্টার্স সমমান) সম্পন্ন করেন। জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ তরুণ আলেম প্রতিভা-২০০৮ এ সম্মানীত হন। ২০০৯ সালে কর্মজীবনের শুরু ঐতিহ্যবাহী বিশ্বনাথ জামেয়া মাদানিয়ায় শিক্ষকতা এবং মাসিক আল ফারুকের উপদেষ্টা সম্পাদকের দায়িত্ব গ্রহণের মধ্য দিয়ে। ২০১৬ সালে উচ্চতর ইসলামী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জামেয়াতুল খায়র আল ইসলামীয়া সিলেটে বিভাগীয় প্রধান হিসেবে যোগদান করেন। ২০১৯ সালে ঢাকায়, যাত্রাবাড়ীতে প্রতিষ্ঠা করেন ইসলামী দা‘ওয়াহ ও গবেষণা কেন্দ্র মা‘হাদুল ফিকরি ওয়াদদিরাসাতিল ইসলামিয়া। বর্তমানে ইসলামিক হিস্ট্রি অ্যান্ড কালচার অলিম্পিয়াড বাংলাদেশের চেয়ারম্যানের দায়িত্বপালন করছেন। ২০১১ সালে হয় তার কবিতা নিয়ে প্রকাশিত হয় কবি-সমালোচক মুকুল চৌধুরীর সনাক্তধর্মী আলোচনা ‘মুসা আল হাফিজ: কবিতার নতুন কণ্ঠস্বর’। শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. রিজাউল ইসলাম তার সাহিত্যকর্ম নিয়ে লিখেন গবেষণাগ্রন্থ- মুসা আল হাফিজের মননবিশ্ব (২০১৮)। তরুণ কবি এম আসাদ চৌধুরীর সম্পাদনায় ২০১৯ সালে প্রকাশিত হয় তার সাহিত্যকর্ম নিয়ে বিশজন আলোচকের পর্যালোচনাগ্রন্থ ‘মননের কবি, বৈদগ্ধের দৃষ্টিতে’। বিভিন্ন বিষয়ে তিনি ৫০টির অধিক বই লিখেছেন।