কাহিনি-সংক্ষেপ কাকতালীয়ভাবে প্রকৃতির রহস্য-যুবক নীলুর সাথে ইউনিভার্সিটি পড়–য়া টিকলির পরিচয় ঘটে। তারপর তারা একে অন্যের প্রতি প্রবল টান অনুভব করতে থাকে। ফলে তাদের প্রেম হয়ে যায়। কিন্তু রহস্যময় যুবক নীলুর সাথে সম্পর্কের বিষয়টি টিকলির মা শামসাদ জাহান মেনে নিতে পারেন না। আবার টিকলির পছন্দকে তিনি অস্বীকারও করতে পারেন না। এমন প্রেক্ষাপটে নানা ঘটনা ও উপ-ঘটনার মধ্য দিয়ে উপন্যাসের কাহিনি এগিলে চলে। প্রকৃতির রহস্যমানব এই নীলুর পছন্দের মেয়ে টিকলির জন্মদিন। তাই সে নীল শাড়ি ও নীল গোলাপে সেজেছে। আর নীলু প্রতিশ্রুতিমতো রাত আটটা একান্ন মিনিটে নীল পাঞ্জাবি পরে টিকলিদের বাসায় পৌঁছল। টিকলি তখন আসবাবহীন একটি রুমের মাঝখানে দাঁড়িয়ে ছিল। নীলুকে দেখে টিকলি দৌড়ে এসে তার হাত ধরল। নিজের রুমে নিয়ে গেল। আর নীলু টিকলির রুমে ঢোকার সঙ্গেসঙ্গে ঘটে গেল অভাবিত ঘটনা। টিকলি তখন তার রুমের মাঝখানে ভাসমান একটি টেবিল দেখতে পেল। সে টেবিলের উপর বড় একটি কেক। কেকটির উপর নীল ছায়ায় লেখা টিকলি মনির ২২তম জন্মদিন। আর কেকটির চারপাশে নীল আলোর ২২টি মোমবাতি জ্বলছে। বাতিগুলোর নীল আলোতে অদ্ভুত একটি সৌন্দর্য সৃষ্টি হয়েছে। তখন টিকলির মনে হলো, সে নীলুর হাত ধরে প্রকৃতির নীলদহের স্রোতে হারিয়ে যাচ্ছে। নীল পাঞ্জাবির নীলু সিরিজ উপন্যাস। ইতোমধ্যে এ সিরিজের ৫টি উপন্যাস প্রকাশিত হয়েছে। এই সিরিজ উপন্যাসের নীলু প্রকৃতির রহস্যময় ও মাহেন্দ্রক্ষণে জন্মলাভকারী বিরল সংখ্যক মানুষদের একজন। সম্ভবত সে কারণে ‘গ্যালাকটিক ফেডারেশন’ নামের ভিনগ্রহের প্রাণীদের সংগঠনের প্রধান লিনিমিক-এল তাকে পৃথিবীর এজেন্ট নির্বাচন করেছেন। অবশ্য নীলু বিষয়টি জানে না। তবে সে প্রায়শ তার সত্তায় অসাধারণ ক্ষমতা অনুভব করে। তখন নিজের অজান্তেই সে ঘটিয়ে ফেলে অভাবিত-অলৌকিক ঘটনা।