কাহিনি-সংক্ষেপ: মার্সগ্রহের পরিবর্তিত আবহাওয়ার কারণে সেখানকার অভিবাসী লিনিয়ন প্রজাতির জন্মহারের চেয়ে মৃত্যু হার তিন গুণ বেড়ে গিয়েছিল। ফলে লিনিয়ন প্রজাতির বিলুপ্ত হয়ে যাওয়ার প্রেক্ষাপট সৃষ্টি হয়। তাই বিজ্ঞানী লিনিমিক-এল তাদের জিনমের সাথে মানুষের জিনম ক্লোনিং করে বিপুল প্রজনন-ক্ষমতাসম্পন্ন নতুন প্রজাতি সৃষ্টির পরিকল্পনা করেন। এ বিষয়ে ব্যাপক গবেষণা শেষে তিনি নীলুকে মার্সগ্রহে নিয়ে যান। তিনি সেখানে নীলুর জীবন নিরাপদ রাখার জন্য অত্যাধুনিক ব্লু-কেস আবিষ্কার করেন। সেখানে নীলুকে রেখে তিনি তার অবিকল ক্লোন তৈরি করেন। পরবর্তীকালে বিশেষ অপারেশনের মাধ্যমে নীলুর সেই ক্লোনের মাইটোকন্ড্রিয়ার স্থানে নিলিয়নদের সাইটোকন্ড্রিয়া জিনোম ও ব্রেইন প্রতিস্থাপন করেন। ফলে নীলুর ক্লোনটি একই সাথে মানুষ ও লিনিয়নের বৈশিষ্ট্য লাভ করে। পরবর্তীকালে তিনি নীলুর সেই ক্লোনের শুক্রাণু একশ নিলিয়ন নারীদের গর্ভাশয়ে প্রবেশ করান। ৩৬ সপ্তাহ পর নিলিয়ন নারীরা মানুষের দেহকোষের অঙ্গাণু ও প্রজনন ক্ষমতা নিয়ে জন্ম দিল একশ নতুন শিশু। এ সফলতার পর লিনিয়ন নগররাষ্ট্রে নীলুকে রাখার প্রয়োজনীয়তা শেষ হলো। তারপর এক রাতে বিজ্ঞানী লিনিমিক-এল নীলুকে তার মেসে রেখে গেলেন। ৭৩০দিন পর নীলু পৃথিবীতে ফিরে এলো। উল্লেখ্য যে, নীল পাঞ্জাবির নীলু সিরিজ উপন্যাস। ইতোমধ্যে এ সিরিজের ৫টি উপন্যাস প্রকাশিত হয়েছে। এই সিরিজ উপন্যাসের নীলু প্রকৃতির রহস্যময় ও মাহেন্দ্রক্ষণে জন্মলাভকারী বিরল সংখ্যক মানুষদের একজন। সম্ভবত সে কারণে ‘গ্যালাকটিক ফেডারেশন’ নামের ভিনগ্রহের প্রাণীদের সংগঠনের প্রধান লিনিমিক-এল তাকে পৃথিবীর এজেন্ট নির্বাচন করেছেন। অবশ্য নীলু বিষয়টি জানে না। তবে সে প্রায়শ তার সত্তায় অসাধারণ ক্ষমতা অনুভব করে। তখন নিজের অজান্তেই সে ঘটিয়ে ফেলে অভাবিত-অলৌকিক ঘটনা।