কাহিনি সংক্ষেপ : লিমন ইউনিভার্সিটি পড়ার সময় নীলাকে খুব ভালোবেসেছিল। তাকে একদিন না দেখলে সে অস্থির হয়ে পড়ত। আর নীলার আম্মু মানে — লিমনের দূর সম্পর্কের মিনা খালাও তার সাথে নীলার বিয়ে দিতে চাইতেন। ফলে নীলাকে নিয়ে সংসার গড়ার জন্য লিমন বিজনেস শুরু করে। তবে সে সময় নীলার বাবা দেশে থাকতেন না। তিনি ছিলেন সরকারি কর্মকর্তা। তখন মিশর দূতাবাসে তার পোস্টিং ছিল। সেবার দেশে এসে তিনি তাদের সম্পর্কের ব্যাপারটি জানলেন। বিষয়টি তিনি মেনে নেননি। তাই তড়িঘড়ি করে তিনি তার স্নেহভাজন এক অফিসারের সাথে নীলার বিয়ের আয়োজন করেন। সংবাদ পেয়ে লিমন নীলাদের বাসায় যায়। নীলা তখন ছাদে তৈরি স্টেজে বউ সেজে বসেছিল। লিমন সেখানে গিয়ে নীলার বিয়ে আটকাতে চেষ্টা করে। ফলে নীলার বাবা ক্ষিপ্ত হন। তিনি তাকে ভীষণভাবে অপদস্ত করেন। গু-াদের দিয়ে মেরে সেখান থেকে তাকে তাড়িয়ে দিতে চান। সেটা নীলা মেনে নিতে পারেনি। সে তার বাবার আচরণের প্রতিবাদে বাড়ির ছাদ থেকে নিচে লাফিয়ে পড়ে। পরের দিন পত্রিকায় নীলার মৃত্যুসংবাদ প্রকাশ পায়। এ ঘটনার অনেকদিন পর নীলার মা মিনা খালার সাথে লিমনের দেখা হয়। তিনি অনেকটা জোর করে লিমনকে বাসায় নিয়ে গেলেন। বাসায় গিয়ে লিমন আগের মতোই চেনা ড্রইংরুমে বসল। তখন ঠিক নীলার মতো করে তার ছোটো বোন শিলা এসে তার পাশে বসল। মিনি খালার সামনেই নীলার মতো তার কাঁধে মাথা রেখে লেপ্টে গেল। লিমন শিলার আচরণ দেখে অবাক হলো। আবার সে তখন নীলার গায়ের গন্ধ পেতে লাগল Ñ টাটকা বেলি ফুলের গন্ধ। লিমন তখন শিলার মুখের দিকে তাকাল। তার বাম গালের তিলটাও তো নেই। তবু সে নীলাকে শিলা ভেবে তার মুখটা তুলে ধরল। আর তখনি বুঝল, সত্যই এ মেয়ে শিলা নয়, নীলা—তার নীলা। তাহলে নীলা বেঁচে আছে! কীভাবে! অসাধারণ ভালোবাসার গল্প নীলা। আবার এটাকে জীবন-সংগ্রামের গল্পও বলা যায়। যে গল্প পাঠককে নিশ্চিত মুগ্ধতাময় কল্পনার জগৎ ঘুরিয়ে আনবে।