কাহিনি-সংক্ষেপ : মোবাইল কোম্পানির নেটওয়ার্ক ও রেডিয়েশন কাজে লাগিয়ে নিকলি মানুষের মনে প্রভাব সৃষ্টির বিস্ময়কর এক প্রোগ্রাম তৈরি করেছে। সে প্রোগাম ব্যবহার করে সে শীর্ষ সন্ত্রাসী হাইন্যা সেলিমের মন বদলিয়ে দিয়েছে। ফলে হাইন্যা সেলিম নিকলিকে ভালোবেসে ফেলেছে এবং নিকলির শর্ত মতো সে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ছেড়ে দেওয়ার প্রতিজ্ঞা করেছে। নিকলিও তার প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠেছে। সেলিম যদি নিকলির দেওয়া শর্ত পূরণ করতে পাবে, তবে সে তাকে বিয়ে করবে। কিন্তু নিকলির পিতা ব্যাংকার জামিলুর রহমান বিষয়টি মেনে নিতে পারেননি। তিনি একজন সন্ত্রাসীর সাথে মেয়ের বিয়ে দিবেন কেন? হাইন্যা সেলিম একদিন ক্রসফায়ারে চলে যায়। তখন নিকলির ধারণা জন্মে যে, সে ঘটনার পেছনে তার পিতা জামিলুর রহমানের ইন্ধন রয়েছে। ফলে তার মন খুব খারাপ হয়ে গেল। সে গিয়ে নিজের রুমের দরজা বন্ধ করে কাঁদতে বসল। সেদিন দুপুর গড়িয়ে বিকেল হলো। কিন্তু নিকলি তার রুম থেকে বের হলো না। হঠাৎ করেই জামিলুর রহমানের মনে ধাক্কা লাগল। তিনি সকাল থেকে নিকলির কথা একেবারে ভুলেই গিয়েছিলেন। তিনি নিকলির রুমের বন্ধ দরজার সামনে গেলেন। অতি মিষ্টকণ্ঠে নিকলিকে ডাকলেন। কিন্তু নিকলি কোনো সাড়া দিল না। নিকলির রুমের সামনে লোকজন জড় হলো। শেষে শাবল মেরে রুমের দরজা ভেঙে ফেলা হলো। কিন্তু নিকলি রুমে নেই। হায়, কে জানত সম্ভাবনাময় হাস্যোজ্জ্বল টগবগে এই মেয়েটি আর পৃথিবীর কোথাও থাকবে না।