কাহিনি সংক্ষেপ : পুরাতন ঢাকার ধনাঢ্য ব্যবসায়ী সিদ্দিক সাহেবের একমাত্র মেয়ে চাঁদনি প্রতিরাতে স্বপ্ন দেখে—একজন রাজকুমার তাকে পঙ্খিরাজ ঘোড়ায় তুলে নিয়ে দেশ-বিদেশ বেড়াতে বের হয়। একদিন রাজকুমার তাকে ফ্রান্সের আইফেল টাওয়ারও দেখিয়ে আনে। সেদিন সেখানে রূপার সাথে চাঁদনির দেখা হয়। সে তার স্বামীর সাথে সেখানে বেড়াতে গিয়েছিল। একদিন বিকেলে চাঁদনি সত্যসত্যই তার স্বপ্নের রাজকুমারের দেখা পেয়ে যায়। তখন হিসাবের খেরো খাতা হাতে নিয়ে রাজকুমার তাদের বাসার দরজায় দাঁড়িয়ে ছিল। তাকে দেখে আবেগতাড়িত হয়ে চাঁদনি জ্ঞান হারায়। তবে পরে একদিন চাঁদনি তার সাথে কথা বলে। চাঁদনি জানতে পারে তার স্বপ্নের রাজকুমারের চেহারার ছেলেটি তার পিতা সিদ্দিক সাহেবের দোকানের কর্মচারী শহিদুল ইসলামের ছেলে সাকিব। এ ঘটনার পর চাঁদনি আর রাজকুমারকে স্বপ্নে দেখে না। সে তাকে আর বেড়াতে নিয়ে যেতে আসে না। ফলে সে অস্থির হয়ে পড়ে। এ সময় সিদ্দিক সাহেব তার সৎ বোন হালিমা বেগমের মেয়ে নুরুন্নাহারের সাথে সাকিবের বিয়ের আয়োজন করেন। ফলে চাঁদনি তার স্বপ্নের রাজকুমার ও তার স্বপ্নের রাজকুমারের চেহারার ছেলে সাকিবকে হারানোর শোকে ভেঙে পড়ে। বিয়ের দিন নিজেকে সামলাতে না পেরে সে বাড়ির ছাদ থেকে লাফ দেয়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সিদ্দিক সাহেবের বন্ধু ও প্রতিবেশী আওলাদ সাহেবের ছেলে শাহরুখ চাঁদনিকে খুব পছন্দ করে। তাই সে প্রতিজ্ঞা করে বসেছে, হাসপাতাল থেকে সুস্থ চাঁদনিকে না নিয়ে সে আর বাসায় ফিরবে না।