রোদেলা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজিতে মাস্টার্স করেছে। তবে তার মানসিক একটি সমস্যা রয়েছে। সে দারুণ খেয়ালি এবং অকারণে মিথ্যা বলে। একদা তার খেয়ালিপনা ও মিথ্যা বলার কারণে একদা তার মা তাকে বকা দেয়। ফলে রাগ করে সে ঢাকায় এক বান্ধবীর কাছে চলে আসে। পরবর্তীকালে সে দেশের নামকরা ইন্টেরিয়র ডিজাইন ফার্ম ‘মার্স ইন্টেরিয়র’-এর এমডির পিএস হিসেবে জয়েন করে। অফিসের কাজে রোদেলা খুব মনোযোগী। তবে এ অফিসে জয়েন করেও সে তার হেয়ালিপনা ও অপ্রয়োজনে মিথ্যা বলা বন্ধ করেনি। একসময় এ বিষয়টি প্রতিষ্ঠানের এমডি মাসুদ করিম জেনে যান। তবে তিনি রোদেলার এই হেয়ালিপনা ও অপ্রয়োজনে মিথ্যা বলাটা ইনজয় করেন। মেয়েদের প্রতি দুর্বলতা না থাকলেও তিনি তাকে বেশ প্রশ্রয় দেন। কারণ, ছাত্রজীবনে তিনি রোদেলার মতো দেখতে তানিশা নামের একটি মেয়েকে ভালোবেসেছিলেন। আবার তানিশাও তার মতো অকারণে মিথ্যা বলত এবং তানিশও ছিল রোদেলার মতো দারুণ খেয়ালি। আর এই খেয়ালিপনার কারণে তানিশা হুট করে একদিন অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী এক অচেনা ছেলেকে বিয়ে করে অস্ট্রেলিয়ায় চলে যায়। পরবর্তীকালে এই খেয়ালি রোদেলার কাজের প্রতি একনিষ্ঠতা দেখে মাসুদ করিম মুগ্ধ হন। ফলে তিনি রোদেলাকে ‘মার্স ইন্টেরিয়র’-এর প্রশাসনিক কর্মকর্তা হিসেবে পদোন্নতি দেন। তারপর উপন্যাসের কাহিনি-উপকাহিনি গলিয়ে একসময় ইন্টেরিয়র ডিজাইনার মাসুদ করিমের সাথে রোদেলার গভীর সম্পর্ক হয়ে যায় এবং সে মাসুদ করিমের সাথে বিয়ে করে। ‘রোদেলার বিয়ে’ এক অসাধারণ প্রেমের গল্প। পাঠককে এ উপন্যাসটি কল্পনাতীত আনন্দ-সাগরে ¯œাত করবে।