ছলছল বহে ধারা যমুনার জল
ওপাড়েতে ছেলেমেয়ে করে কোলাহল। বেলা ডুবে রাত আসে রবি নামে পাটে, মাঝিভাই নাও বায় যমুনার ঘাটে। চাষীভাই জমি চষে ফসল ফলায় , হাসিখুশি থাকে সদা সফল চলায়। পশুপাখি ঘুরে ফিরে আহার জোগায় শিকারীরা ধরে তায় মজাকরে খায়। জেলেভাই মাছধরে বাজারে বিকায়, মালীরা ফুলের চাষ করে বাগিচায়। কৃষাণেরা কাজে যায় ফসলের মাঠে, সাঁঝরাতে কতজনা বসে পুঁথি পাঠে। রূপবৈচিত্র্যের কত সমাহার, রূপসী এ বাংলার উপমা হাজার। মসৃন ভালোবাসা খুঁজে পাই তোমাতে যদিও প্রকৃতির আবর্তে তুমি শ্যামা মেয়ে , দাগহীন মুখবয়ব টোল পরা দুটো গাল অবিরাম বয়ে চলে জীবন শুধু নেচে গেয়ে । সত্য ব্রত জীবনের গতি ধারা সত্য আপন মন সত্য জয়ের অভিলাষে কেটে যায় সব ক্ষন । ঈষ্টদেবের কৃপা মহান রেখেছে সুস্থ সবল লাখো শুকরানা কর তবে বাহুতে শত বল । ধৈর্য সহিষ্ণুতা লুকিয়ে আছে শ্যামার অন্তরালে মহাশ্রদ্ধা করে সবাই জীবন সন্ধিকালে । শ্যামার আধিক্যে গুণবতী হয়ে করে সর্ব প্রণাম, তিল তিলে সঞ্চয় করে গৃহীত হাজারো সুনাম । ফর্সা হলে হয় না সুন্দর যদি না থাকে মন , উদার আদিত্যে জীবনের ধারা এইতো শ্যামার পন । বিনাদোষে করোনা হেলা যদিও শ্যামা মেয়ে , নিখিল আবরণে খোদার মাখলুক সকল সৃষ্ট বেয়ে ।