এবারের কাহিনীটা বিভক্তের, পাওয়া-না পাওয়ার বেদনা, হারিয়ে খুঁজে পাওয়ার আনন্দের। দ্বীপের নাম নিকোশিয়া। গ্রীক কোস্তাস আর তুর্কী ড্যাফনের মধ্যিকার প্রেম চলছে তুমুল। ওদের প্রেমের সাক্ষী হাসিখুশি এক সরাইখানা। সে প্রেমের মাঝে রঙ আনে শত শত প্রজাপতির মেলা, বিবর্ণ করে আকাশ থেকে ছিটকে পড়া বাদুড়ের লাশ। হুট করেই একদিন নামলো বিচ্ছেদের ভাঙন। রাস্তায় মানুষের মৃতদেহ, সেনাবাহিনীর মার্চ, দেয়ালে সেঁটে থাকা রক্ত আর পলায়নপর ব্রিটিশদের মাঝে ড্যাফনে আর ডক্টর নরম্যান সরাইখানায় গোপনে কোন কাজ করতে যাচ্ছে? এরপর কেটে গেলো অনেকগুলো বছর। গল্প শুরু লন্ডনে। আডা কাযানযাকিসের চিৎকারের প্রতিধ্বনি ছড়িয়ে পড়তে শুরু করলো বিশ্বের নানা জায়গায়। দরজায় টোকা দিলো খালা মেরিয়েম। তার কাছে না জানা অনেক গল্প শুনলো আডা, তবে মনের মাঝে চাপা রাগটা দূর করতে খুবই কষ্ট হচ্ছে মেয়েটার। কেন এত রাগ ওর? মেরিয়েম কি ওর রাগ ভাঙাতে পারবে? ইউসুফ ইয়েরগোস রবিনসনের পরিচয় জানতে পেরে কোস্তাসের দু’চোখ বেয়ে পড়তে শুরু করে অশ্রু। তারচেয়েও বড় কথা, ভাঙন দিয়ে যে গল্পের আখ্যান শুরু হয়েছিল, শেষটায় কি তা জোড়া লাগবে? প্রিয় পাঠক, এলিফ শাফাকের মোহনীয় জগতে আরও একবার আপনাদের স্বাগতম। বরাবরের মতো এবারের গল্পেও আছে ইতিহাস, প্রেম, ভালোবাসা, বন্ধুত্বের বন্ধন, জ্বিন তাড়ানো ওঝা এবং আরও অনেক কিছু। তবে, সবকিছু ছাপিয়ে এবারের গল্পের মূল নায়ক একটা ডুমুর গাছ!
১৯৭১ সালের ২৫ অক্টোবর ফ্রান্সের স্ট্রাসবার্গে এলিফ শাফাকের জন্ম। তুর্কী বংশােদ্ভূত এই লেখিকা একাধারে ঔপন্যাসিক, প্রাবন্ধিক, নারী অধিকার আদায়ে সােচ্চার প্রতিবাদী এক কণ্ঠ এবং সুবক্তা। তিনি যে সুবক্তা, তার প্রমাণ মেলে। লেখা উপন্যাস ও গল্পে। বিভিন্ন ভাষায় অনুদিত। হয়েছে তার উপন্যাস, পেয়েছে জনপ্রিয়তা। বেশ কিছু পুরষ্কারেও ভূষিত হয়েছেন এলিফ। হয়েছেন বেশ কিছু প্রতিযােগিতার বিচারক। এশিয়া ইউরােপের ইতিহাস, ধর্ম, রাজনীতি, সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয়ের সাথে অতীতের অপূর্ব সম্মিলন। ঘটাতে সিদ্ধহস্ত এই লেখিকার হাত ধরে এসেছে। থ্রি ডটারস অব ইভ, দ্য গেয, দ্য ফর্টি রুলস অব 'লাভ, দ্য আর্কিটেক্ট'স এপ্রেন্টিসের মতাে জনপ্রিয় কিছু উপন্যাস।